ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
সোনার উপর ২ শতাংশ হারে আমদানি শুল্ক চালু ছিল ইউপিএ জমানায়। ধাপে ধাপে মনোমোহন সিংয়ের সরকার সেই হার ১২ শতাংশে নিয়ে যায়। তা নিয়ে সেইসময় তীব্র সমালোচনা করেন গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর বক্তব্য ছিল, অতি উচ্চ হারে শুল্ক চাপিয়ে কেন্দ্র আসলে সোনার কালোবাজারির দরজা খুলে দিচ্ছে। কারণ, আমদানি শুল্ক বাড়লে, তা এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা বাড়বে দেশে। তাতে সোনার চোরাচালান বাড়বে এবং সরকারের রাজস্বের ক্ষতি হবে। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পরে অবশ্য সোনার আমদানি শুল্কে রেহাই দেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বর্তমানে সেই হার ১৫ শতাংশ! এর মধ্যে ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক এবং বাকিটা কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়ন সেস।
বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগরচন্দ্র পোদ্দারের কথায়, আন্তর্জাতিক নানা কারণে সোনার দাম চড়া। দামের ভারে ক্রেতা কমছে ছোট ও মাঝারি দোকানগুলিতে। তাতে যে শুধু ব্যবসায়ীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তা নয়। লক্ষ লক্ষ কারিগর স্বর্ণশিল্পের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের হাতে কাজ নেই। আমাদের দাবি, সরকার আমদানি শুল্ক অন্তত ৮ শতাংশে নামিয়ে আনুক। তাতে সোনার দাম কিছুটা কমবে। শুল্কের হার কমালে যেটুকু রাজস্বের ক্ষতি সরকারের হবে তার অনেকটাই মিটবে সোনার চাহিদা বাড়লে। দেশীয় বাজারে বিক্রি বাড়লে, বাজার চাঙ্গা হলে, সরকার জিএসটি বাবদ বেশি রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হবে, দাবি টগরবাবুর। তাতে যেমন কারিগররা বাঁচবেন, তেমনই রেহাই পাবেন ক্রেতারাও।