আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
প্রীতিকে তাঁর দলের প্রায় প্রতি ম্যাচেই স্টেডিয়ামে দেখা যাচ্ছে। আশা করা যায় ইডেনেও থাকবেন তিনি। স্যাম কারানদের উদ্দীপ্ত করবেন ভিআইপি বক্সে বসে। কিন্তু শাহরুখ কি আসছেন? গত রবিবার ক্রিকেটের নন্দনকাননে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে নাইটদের রুদ্ধশ্বাস জয়ের সাক্ষী থাকতে পারেননি কিং খান। তবে পাঞ্জাব ম্যাচে বাদশা নাকি সদলবলে হাজির হবেন। কেকেআর সিইও বেঙ্কি মাইসোর তেমনই ইঙ্গিত দিলেন। শুধু থাকা নয়, যাবতীয় কাজকর্ম ফেলে দিল্লি ম্যাচ পর্যন্ত কলকাতায় ডেরা গাড়তে চলেছেন শাহরুখ। কারণ, সোমবার ইডেনে আরও এক আবেগের ম্যাচ। কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস। সেই দ্বৈরথকে অনেকেই দেখছেন দাদা বনাম কিং খানের লড়াই হিসেবে।
পর পর দু’টি প্রেস্টিজ ফাইট। প্লে-অফের হাতছানি। ন’বছর পর তৃতীয় খেতাবের স্বপ্ন উজ্জ্বল হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শাহরুখের উপস্থিতি দলকে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে। এখনও পর্যন্ত সাতটির মধ্যে পাঁচটি ম্যাচেই তিনি মাঠে থেকেছেন। এসআরকে যেন কেকেআরের নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেন। প্রীতির ক্রিকেটপ্রেমও নতুন নয়। বার বার ব্যর্থ হলেও দলের উপর আস্থা হারাননি তিনি।
তাই বাইশ গজে শুধু রাসেল-রাবাডাদের ধুন্ধুমার লড়াই নয়, শুক্রবার ইডেন দেখবে অন্য বীর-জারা শো। পর্দার রোম্যান্টিকতা উধাও হয়ে যাবে কিছু সময়ের জন্য। তবে ম্যাচ শেষে তাঁদের পুনর্মিলনের মঞ্চ হয়ে উঠতে পারে ক্রিকেটের নন্দনকানন। যেমনটা দেখা গিয়েছিল ২০১৪ সালে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। সেবার ফাইনাল হয়েছিল কলকাতা ও পাঞ্জাবের মধ্যে। শেষ হাসি হেসেছিল নাইট ব্রিগেড। ম্যাচের পর দেখা গিয়েছিল এক বিরল দৃশ্য। প্রীতির হাত ধরে মাঠ প্রদক্ষিণ করেছিলেন কিং খান। বাইশ গজের জয়-পরাজয় পর্দার মতোই তাঁদের সম্পর্কের মধ্যে বিভেদের প্রাচীর খাড়া করতে পারেনি। বরং যাবতীয় বাধা-বিপত্তি উড়িয়ে তুলে ধরেছিলেন বন্ধুত্বের বার্তা।
দু’দশক আগে তৈরি হওয়া বীর-জারার চিত্রনাট্য যেমন ধূসর হয়েছে দর্শকদের স্মৃতিতে, তেমনই ফিকে হয়েছে দুই দলের লড়াইয়ের উত্তেজনাও। পরিসংখ্যান বলছে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ২১ বার জিতেছে কলকাতা। শুক্রবার ইডেনে শেষ হাসি কারা হাসবে, তা সময় বলবে। তবে চব্বিশের আইপিএলে দুই দলের অবস্থান একেবারে বিপরীত মেরুতে। সাতটি খেলে পাঁচটি জয়ের সুবাদে প্লে-অফের পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে নাইটরা। এক ম্যাচ বেশি খেলে পাঞ্জাব কিংস চার পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে। স্যাম কারানরা এই ম্যাচে হারলে বিদায় কার্যত নিশ্চিত। আর কেকেআর হারলে লড়াই জমে উঠবে।
তাই বীর না জারা, শেষ হাসি কে হাসেন সেটাই দেখার!