পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
টেস্টে ১২ বার সুনীল গাভাসকরকে আউট করেছিলেন আন্ডারউড। বাইশ গজে তাঁদের দ্বৈরথ ছিল দারুণ আকর্ষণীয়। কিংবদন্তি ওপেনার স্বীকার করেছেন যে, বাঁহাতি স্পিনারের বিরুদ্ধে তিনি খুব একটা স্বচ্ছন্দ বোধ করতেন না। সানির কথায়, ‘যে কোনও কন্ডিশনেই আন্ডারউডকে খেলা কঠিন ছিল। একেবারে নিখুঁত নিশানায় বল করত। স্টাম্প লক্ষ্য করে বল ছাড়ত। শুধু স্লো বোলিং নয়, ইচ্ছামতো জোরেও বল ছাড়ত। তাই শট নেওয়ার জন্য খুব দ্রুত পজিশন নিতে হতো। আমার খেলা সবচেয়ে কঠিন বোলারের তালিকায় অ্যান্ডি রবার্টসের সঙ্গে আন্ডারউডও থাকবে।’
১৯৬৩ থেকে ১৯৮৭, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৪ বছর খেলেছেন আন্ডারউড। ক্রিকেট জীবনে শুধু কেন্টের হয়েই খেলেছেন তিনি। আর কোনও কাউন্টির প্রতিনিধিত্ব করেননি। ১৯৬৬ সালে টেস্ট অভিষেকের সময় তাঁর বয়স ছিল ২১। ১৯৮২ সালে কেরিয়ারের শেষ টেস্ট খেলেন তিনি। খেলা ছাড়ার পর এমসিসি’র প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন আন্ডারউড।
আঢাকা পিচে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতেন আন্ডারউড। সেই কারণে ‘ডেডলি’ নামে চিহ্নিত হতেন তিনি। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ওপেনার জিওফ্রে বয়কট কলামে লিখেছেন, ‘ব্যাটের কাছাকাছি চারজন ফিল্ডার রেখে বল করতে ভালোবাসত আন্ডারউড। মাকড়শা যেমন পতঙ্গ ধরার জন্য জাল বিছিয়ে রাখে, ডেরেকও সেভাবেই ফাঁদে ফেলত ব্যাটসম্যানকে। খুচরো রান নিয়ে অন্য প্রান্তে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগও দিত না। কোনও ফিল্ডারের ভুলে ব্যাটসম্যান সিঙ্গল নিলে তার দিকে কড়া চাউনি উপহার দিত। মুখে যদিও কিছু বলত না।’
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল আথারটনের মতে, ‘ফ্লাইটের উপর খুব একটা নির্ভর করত না। স্পিনার হলেও নিশানা এবং জোরে বল ছাড়াই ছিল প্রধান অস্ত্র। বিষাণ সিং বেদির একেবারে উল্টো ঘরানার বোলার ছিল ডেরেক। অনেকটা মিডিয়াম পেসারের গতিতেই বল ছাড়ত।’