ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
ভারতের প্রাক্তন নির্বাচক ও বাংলার রনজি জয়ী দলের অধিনায়ক সম্বরণ ব্যানার্জিও মনে করেন, অভিমন্যুকে টেস্ট দলে নেওয়ার এটাই সেরা সময়। তিনি আরও বলেন, ‘ও ধারাবাহিকভাবে ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করছে। ভারতীয় ‘এ’ দলে সেরাটা মেলে ধরেছে। নির্বাচকরা সত্যিই যদি ঘরোয়া ক্রিকেটকে গুরুত্ব দেন, তাহলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে অন্তত চারটি ইনিংসে খেলার সুযোগ দেওয়া উচিত অভিমন্যুকে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, একটা টেস্টে ব্যর্থ হলেই তাকে বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়া হয়। শুধু অভিমন্যু নয়, যে কোনও নবাগত ক্রিকেটারকে জাতীয় দলের জার্সিতে কমপক্ষে দু’টো টেস্টে সুযোগ দেওয়া উচিত। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম টেস্ট ম্যাচটি হবে বিশাখাপত্তনমে। ব্যাটিং সহায়ক উইকেট অভিমন্যুর মতো টেকনিক্যালি সাউন্ড ব্যাটসম্যান বড় রান করে দিতে পারে।’
পাঁচদিনের ক্রিকেটে ওপেনিং জুটি নিয়ে সমস্যা রয়েছে ভারতীয় দলে। লোকেশ রাহুল ও মায়াঙ্ক আগরওয়াল ফর্মে নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ভারত টেস্ট সিরিজে ক্লিন সুইপ করলেও ওপেনিং নিয়ে চিন্তা থেকেই গিয়েছে। পৃথ্বী সাউ নির্বাসিত। রহিত শর্মাকে দিয়ে ওপেন করানো হবে কি না তা ঠিক করবে টিম ম্যানেজমেন্ট। শুধু সম্বরণ নয়, বাংলার একাধিক প্রাক্তনীর মতে, অভিমন্যু ঈশ্বরণ এই মুহূর্তে সঠিক বিকল্প। রনজি জয়ী বাংলা দলের প্রাক্তন অধিনায়কের মন্তব্য, ‘আমরা যা বুঝছি, সেটা যদি জাতীয় নির্বাচকমণ্ডলীতে পূর্বাঞ্চলের প্রতিনিধি বুঝতে পারেন, তাহলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেই অভিমন্যুর টেস্ট অভিষেক হতেই পারে।’
অভিমন্যু অবশ্য এসব নিয়ে বেশি মাথা ঘামাচ্ছেন না। দলীপ ট্রফি জয়ের পর কয়েকদিনের বিশ্রাম পেয়ে দেরাদুনে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। মুঠোফোনের ওপার থেকে অভিমন্যু জানালেন, ‘টেস্ট খেলার জন্য আমি তৈরি। কিন্তু সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারটা আমার হাতে নেই। রান করাই আমার কাজ। ১৪ তারিখ মাইসোর যাবো দক্ষিণ আফ্রিকা এ দলের বিরুদ্ধে চারদিনের ম্যাচ খেলতে।’
গত মরশুমে রনজ ট্রফিতে আশানুরূপ সাফল্য পাননি অভিমন্যু। ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়েও শুরুটা ভালো হয়নি। কিন্তু ‘এ’ দলের খেলার সময় কোচ হিসাবে রাহুল দ্রাবিড়ের সংস্পর্শে আসার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। অভিমন্যু জানালেন, ‘রাহুল স্যারের পরামর্শ দারুণ কাজে দিয়েছে। ম্যাচের থেকেও উনি অনুশীলনের উপর বেশি জোর দিতেন। যখনই কোনও সমস্যা হত, তখনই স্যারের কাছে ছুঁটে গিয়েছি। ৫০-৬০ রান করেই আউট হয়ে যাচ্ছিলাম। দ্রাবিড় স্যারের টিপস পেয়ে আমি শ্রীলঙ্কার ‘এ’ দলের বিরুদ্ধে ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছিলাম।’ এই মরশুমে বাংলার অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছেন অভিমন্যু। এটাকে তিনি বাড়তি চাপ হিসাবে দেখছেন না। বরং চ্যালেঞ্জটা তিনি উপভোগ করতে চান বলে জানিয়েছেন।