ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
ঘরের মাঠে প্রবলতর প্রতিপক্ষ পর্তুগালের বিরুদ্ধে শুরুটা মন্দ করেনি সার্বিয়া। মাঝমাঠে তারা কঠিন চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে ডানিলো-উইলিয়াম কার্ভালহোদের। ২৯ মিনিটে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। বক্সের মধ্যে থেকেও তিনি ঠিকমতো পায়ে-বলে সংযোগ ঘটাতে পারেননি। এই পর্বে প্রতি-আক্রমণে বেশ কয়েকবার পর্তুগিজ ডিফেন্ডারদের পরীক্ষা নিয়েছে সার্বিয়া। বিরতির মিনিট চারেক আগে কার্ভালহোর গোলে লিড নেয় পর্তুগাল। ডানদিক থেকে ভেসে আসা বল ধরতে গিয়ে সহ-ফুটবলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে সার্বিয়ার গোলরক্ষকের। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বল গোলে ঠেলে দেন কার্ভালহো (১-০)।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রারম্ভিক পর্বে প্রেসিং ফুটবল উপহার দিয়ে বিপক্ষকে কোণঠাসা করেন রোনাল্ডোরা। ৫০ মিনিটে তাঁর ফ্রি-কিক অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এর মিনিট আটেক পরে ব্যবধান বাড়ান গুয়েদেস। ব্রুনো ফার্নান্ডেজের পাস ধরে সার্বিয়ার দুই ডিফেন্ডারকে বোকা বানানোর পর বাঁ পায়ের শটে জাল কাঁপান তিনি (২-০)। তবে এই ফল দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ৬৮ মিনিটে ডুসান ট্যাডিচের কর্নার থেকে হেডে সার্বিয়ার প্রথম গোলটি করেন ফিওরেন্তিনার ডিফেন্ডার মিলেনকোভিচ (২-১)। এই গোলের পর পর্তুগাল পরপর বেশ কয়েকটি আক্রমণ শানায়। ৮০ মিনিটে বার্নাডো সিলভার অনবদ্য থ্রু খুঁজে নেয় রোনাল্ডোকে। একের বিরুদ্ধে এক পরিস্থিতিতে তাঁকে হার মানাতে অসুবিধা হয়নি সিআরসেভেনের (৩-১)। পাঁচ মিনিট পরে সার্বিয়ার হয়ে ব্যবধান কমান মিত্রোভিচ (৩-২)। তাঁকে বল বাড়িয়েছিলেন সেই ট্যাডিচই। এর আগে পর্তুগিজ গোলরক্ষক রুই প্যাট্রিসিও দু’বার দক্ষতার শীর্ষে উঠে দলের নিশ্চিত পতন রোধ করেন। ম্যাচ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে বিপক্ষের কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন বার্নাডো সিলভা (৪-২)।