বার্মিংহ্যাম, ৮ জুলাই: সেমি-ফাইনালের আগে উসমান খাওয়াজা এবং মার্কাস স্টোইনিসের ছিটকে যাওয়া নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সহকারী কোচ রিকি পন্টিং উদ্বেগে থাকলেও দলের কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার মনে করছেন, ‘ভেঙে পড়ার কোনও কারণ নেই।’ দলে এসেছেন ম্যাথু ওয়েড এবং মিচেল মার্শ। এর আগে পরিবর্ত হিসাবে দলে এসেছেন পিটার হ্যান্ডসকম্ব। এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে জাস্টিন ল্যাঙ্গার জানান,‘ উসমান খাওয়াজা ও মার্কাস স্ট্রোইনিস নেই বলে আমি চিন্তিত নই। ম্যাথু ওয়েড, মিচেল মার্শরা আসার পর প্রথম একাদশ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমার হাতে এখন অনেক বেশি ‘অপশন’। মিচেল মার্শ আসায় আমরা মিডল ওভারে মিডিয়াম পেস করার জন্য একজনকে পেয়ে গেলাম। স্টোইনিস এই কাজটি করত। অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের হয়ে মিচেল মার্শ গত চারটি ম্যাচে বেশ ভালো পারফর্ম করেছে। হ্যান্ডসকম্বও ছন্দে আছে। দেশে এত বিকল্প খেলোয়াড় রয়েছে যে আমরা একদিক থেকে ভাগ্যবান। হ্যান্ডসকম্ব চলে আসায় স্টিভ স্মিথকে আমরা তিন নম্বরে খেলাতে পারি। সেই ক্ষেত্রে ফর্মে থাকা উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারিও ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেতে পারে। আমাদের হাতে অনেক বিকল্প।’
অস্ট্রেলিয়ান কোচ বলেন,‘আমাদের পারফরম্যান্স অনেকটা ভারতের মতোই। টপ অর্ডার কেন্দ্রিক। সেটা আরও শক্তপোক্ত করতে চাইছি আমরা। স্মিথকে তিন নম্বরে আনার ভাবনা-চিন্তাও আছে।’
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং শক্তির ৬০ শতাংশই হলেন দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার আর অ্যারন ফিনচ। ডেভিড ওয়ার্নার করেছেন ৬৩৮। ফিনচের সংগ্রহ ৫০৭। দুই অজি ওপেনার মোট পাঁচটি সেঞ্চুরি করেছেন এবারের বিশ্বকাপে। ল্যাঙ্গার তাই বলেছেন,‘ আমরা এমনভাবে ব্যাটিং লাইন আপ সাজাব যাতে প্রথম চার জন ব্যাটসম্যানের সকলেই সেঞ্চুরি করার ক্ষমতা থাকে।’ ল্যাঙ্গার এদিন অতি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে মিডিয়ার সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। তাঁর তুলনায় পন্টিং গত রবিবার অনেকটাই রক্ষণাত্মক ঢঙে ছিলেন। গত রবিবার পন্টিং বলেছিলেন,‘দল এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে রয়েছে। সত্যি বলতে কী, সেমি-ফাইনালের আগে দলে দু’জন নতুন সদস্য এলে, তাদের দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগবেই। কিন্তু, সেই সময় আমাদের হাতে নেই। কোচদেরই এই কাজটা করতে হবে।’ দেখা যাক ল্যাঙ্গার- পন্টিং নতুন খেলোয়াড়দের কতটা উজ্জীবিত করতে পারেন?