ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের দিন থেকে ফ্লাইং স্কোয়াড টিম নজরদারি শুরু করেছে। মনোনয়নপত্র তোলার দিন থেকে স্ট্যাটিক সার্ভিল্যান্স টিমের(এসএসটি) নজরদারি শুরু হয়। সেইমতো ২৯এপ্রিল থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে নাকা পয়েন্টে চেকিং শুরু হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ২৪ ঘণ্টাব্যাপী ওইসব জায়গায় নজরদারি চলছে। আট ঘণ্টা করে তিনটি শিফ্টে প্রশাসন ও পুলিস কর্মীরা ডিউটি করছেন। নগদ ৫০হাজার বা তার বেশি টাকা নিয়ে যাতায়াত করার সময় উপযুক্ত প্রমাণ না থাকলে ওই টাকা বাজেয়াপ্ত করবে এসএসটি। একইভাবে ১০ হাজার টাকা বা তার বেশি মূল্যের উপহার সামগ্রী নিয়ে যাতায়াত করার সময় উপযুক্ত নথি থাকতে হবে। তা না হলে ওই উপহার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করবে এসএসটি।
প্রতিটি নাকা পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। জেলাশাসক অফিস থেকেই ৪৮টি নাকা পয়েন্টে নজরদারি চালানো হচ্ছে। কোলাঘাট থেকে দীঘা পর্যন্ত জাতীয় সড়কে বেশ কয়েকটি জায়গায় নাকা পয়েন্ট করা হয়েছে। মারিশদা থানার অধীনে দুই জায়গায় জাতীয় সড়কে নাকা চেকিং চলছে। ভূপতিনগর থানা এলাকায় তিন জায়গায় চেকিং চলছে। পশ্চিম মেদিনীপুর ও হাওড়া সীমানাবর্তী এলাকা ছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনার সঙ্গে ফেরিসার্ভিস পথে মোট ২০টি জায়গায় আন্তঃজেলা নাকা পয়েন্ট করা হয়েছে। নগদ সামগ্রী, মাদকদ্রব্য, বেআইনি অস্ত্রশস্ত্র, দামী উপহারসামগ্রীর উপর নজরদারি চালাবে এসএসটি।
প্রতিটি ব্লকে বিডিওদের এসএসটির মাথায় রাখা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করার ঘটনা ঘটেছে। কাঁথি থেকে মাদক সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে ফ্লাইং স্কোয়াড টিম এবং স্ট্যাটিক সার্ভিল্যান্স টিম নজরদারি চালায়। ওই কাজে যাতে অপ্রীতিকর কোনও পরিস্থিতি না হয়, তারজন্য সরাসরি ডিএম অফিস থেকে নজরদারির ব্যবস্থা রয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক অফিসার বলেন, ২৯ এপ্রিল থেকে ভোট পর্যন্ত এসএসটি নাকা পয়েন্টে নজরদারি চালাবে।