ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
এদিন উত্তর মালদহের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা গুরুতর অসুস্থ থাকার জন্য খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো তাঁকে সান্ত্বনা দেন। তিনি বলেন, প্রসূনের মা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবুও ওর মা ওকে লড়ে যেতে বলেছেন। এই কঠিন সময়ে আপনারা প্রসূনকে আশীর্বাদ করুন।
জনসভার মঞ্চ থেকেই পুরাতন মালদহ শহরে দলের ফ্লেক্স ও ফেস্টুন ছেঁড়া নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন পুলিস কর্তা বলেন, মাস খানেক ধরেই তৃণমূলের ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন ছেঁড়া হচ্ছে। সোজা পথে পেরে উঠছে না বলেই হতাশা থেকে বিজেপি এমন করছে। আমরা এনিয়ে অভিযোগ করেছি। তৃণমূল প্রার্থীর আবেদন, হাতজোড় করছি, কেউ এসব করবেন না। আবার এরকম হলে উত্তর মালদহ অবরুদ্ধ হয়ে যাবে।
একই সঙ্গে উত্তর মালদহের বিদায়ী সাংসদ খগেন মুর্মুর কাজ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রসূন। বলেন, ৫ বছরে ২৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। কোনও কাজ হল না। হবিবপুর থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর কোথাও কোনও উন্নয়ন হয়নি। পুরাতন মালদহের ২০টি ওয়ার্ডেও উন্নয়ন পৌঁছয়নি। তাহলে ২৫কোটি টাকা কোথায় গেল? উত্তর মালদহের রাজনৈতিক ইতিহাসে এটাই সব থেকে বড় স্ক্যাম। কেলেঙ্কারির ফাইলটা আমরা খুলব। এটা জনগণের টাকা, আপনার নয়।
বিমানবন্দর নিয়ে কেন্দ্রের অসহযোগিতা এবং ফ্লেক্স ছেঁড়ার অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপির সহ সভাপতি তাপস গুপ্ত বলেন, রাজ্য কিছুই করছে না। বিমানবন্দরের মাঠকে কার্যত জঙ্গল করে রেখেছে পুরসভা। সেখানে অনেক বিল্ডিং উঠেছে। কিন্তু সেখানকার পরিবেশ এখনও বিমান নামার উপযুক্ত নয়। আমাদের বিদায়ী সাংসদ অতীতে এনিয়ে লোকসভার দৃষ্টিও আকর্ষণ করেছেন। এই অভিযোগ প্রসঙ্গে খগেন মুর্মু অবশ্য বলেন, তৃণমূল কেলেঙ্কারির কথা বললে মানুষ হাসে। প্রসূনবাবু আগে পুলিসের কর্তা ছিলেন। তাঁর কিছু না বলাই ভালো। আমরাও ফাইল খুলতে জানি।