সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশের অনেক আগে থেকেই জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। অন্যদিকে, বিজেপি বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও বীরভূম ছিল ফাঁকা। অবশেষে গত ৩০ মার্চ এই কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধরের নাম ঘোষণা করা হয়। পরের দিন তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিয়ে তিনি প্রচারেও নেমে পড়েন। শুরু হয়ে যায় তাঁর দেওয়াল লিখন। প্রার্থী কখনও হুড খোলা জিপে চেপে, কখনও আবার হেঁটে প্রচার শুরু করেন। এরই মধ্যে গত শুক্রবার নির্বাচন কমিশন দেবাশিসের প্রার্থী পদ বাতিল করে দেয়। তার আগে অবশ্য বিকল্প প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করে রেখেছিলেন দেবতনু ভট্টাচার্য। স্বভাবতই তিনি এখন বিজেপির নতুন প্রার্থী। যদিও দেবাশিসবাবু প্রার্থী পদ ফিরে পেতে হাইকোর্টর দ্বারস্থ হয়েছেন।
কিন্তু আদালতের রায়ের অপেক্ষায় বসে না থেকে দেবতনুকে নিয়ে প্রচারে নেমে পড়েছে গেরুয়া বাহিনী। কিন্তু প্রার্থী নিয়ে বিভ্রান্তি কাটছেই বীরভূম কেন্দ্রের বাসিন্দাদের। সেটা বুঝতে পেরেই জেলা নেতৃত্বের সাফাই, বিজেপির ভোট হয় প্রতীকে ও মোদির ইমেজে। সেটা যে শুধু কথার কথা নয়, সেটা বোঝাতেই মোদির মুখোশ পরে চলছে বিজেপির প্রচার। দেবাশিসবাবু টানা ২৫ দিন প্রচার করেছিলেন। সঙ্গী হওয়া কোনও কর্মীর মুখে মোদির মুখোশ দেখা যায়নি। অথচ, দেবতনুর প্রচারে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কর্মীকে মোদির মুখোশ পরে থাকতে দেখা যাচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, বীরভূম কেন্দ্রেও মোদিই যে অন্যতম মুখ, সেটা ভোটারদের মনে গেঁথে দিতে এমন প্রচার কৌশল বিজেপির। যা নিয়ে টিপ্পনি কাটতে ছাড়ছে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলি।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সঞ্জিব কর্মণ বলেন, ‘আগে ঘরঘর দেবাশিস ধর’ স্লোগান তুলে প্রচার করছিল। সেই স্লোগান এখন আর দিতে পারছে না। এই অবস্থায় সর্বত্র ‘মোদিই প্রার্থী’ এটা বোঝাতে তাঁর মুখোশ ব্যবহার করছে বিজেপি। কিন্তু লাভ হবে না। কারণ মোদি নিজেই এখন মুখোশ পরছেন।’ তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপি এখন পুরোপুরি ব্যক্তিকেন্দ্রিক দলে পরিণত। ওদের ভরসা একমাত্র মোদিতে। তাই মোদির মুখোশ পরে ওরা দেখাতে চাইছে, সব কেন্দ্রেই মোদি প্রার্থী। এই দ্বিচারিতা মানুষ ধরে ফেলেছে।’ বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক শান্তনু মণ্ডল বলেন, ‘প্রচারের মাঝে প্রার্থী পরিবর্তন হওয়ায় একটু বেগ পেতে হবে ঠিকই। কিন্তু ৫৪২টি কেন্দ্রেই আমাদের মুখ নরেন্দ্র মোদি। কে প্রার্থী হচ্ছেন সেটা বড় কথা নয়। মোদির সাফল্য তুলে ধরতেই তাঁর মুখোশ ব্যবহার করা হচ্ছে।’
এদিকে হাতে আর মাত্র কটা দিন। এর মধ্যে নয়া প্রার্থীর পক্ষে বীরভূম কেন্দ্রের সমস্ত গ্রামে গিয়ে প্রচার চালানো সম্ভব নয় বলে দলের একাংশ মনে করছে। সেটা স্বীকার করে শান্তনুবাবু বলেন, ‘এই অবস্থায় সব গ্রামে গিয়ে প্রার্থী পরিচিতি করা সম্ভব নয়। ’