সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
ভোটের মরশুমে পূর্বস্থলী থানার সামনে চায়ের দোকানে বিজেপি-তৃণমূল নিয়ে তুফান উঠছে। চায়ের দোকানে বসেই এক যুবক বলেন, বিএ পাশ করার পর চার বছর কেটে গিয়েছে। কোনও কাজ পাইনি। চাষের কাজ করে সংসার চলে। আমার বন্ধুদের অনেকেই ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করছে। বাড়িতে বয়স্ক মা রয়েছে। সেকারণে যেতে পারছি না। বাড়ির কাছে কাজ পেলে কেউই পরিযায়ী হতে চায় না। নেতাদের উচিত ভোটে জিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া। আলকায়দা জঙ্গি সন্দেহে গুজরাতে গ্রেপ্তার হওয়া এক যুবকের মা বলেন, বাড়ির আর কাউকে বাইরে পাঠাতে মন চায় না। কিন্তু এলাকায় কাজ নেই। তাই অন্য কোনও উপায়ও নেই।
বর্ধমান পূর্বের সিপিএম প্রার্থী নীরব খাঁ বলেন, একসময় চাষে লাভ ছিল। যুবকরা চাষে উৎসাহ দেখাত। এখন চাষের খরচ বেড়ে গিয়েছে। লাভ পাওয়া যাচ্ছে না। পেঁয়াজ, আখ জলের দামে চাষিদের মাঠে বিক্রি করতে হয়েছে। আলু চাষ করেও লাভ পাওয়া যাচ্ছে না। যুবকদের অন্য উপায় নেই। তাই তারা পরিযায়ী হচ্ছে। আমরা জয়ী হলে শিল্প স্থাপনে নিশ্চয়ই জোর দেব। আমাদের সরকার শিল্প স্থাপনে জোর দিয়েছিল। তৃণমূল প্রার্থী শর্মিলা সরকার প্রচারে বেরিয়ে বলেন, ভোটে জিতলে শিক্ষার অগ্রগতিতে জোর দেওয়া হবে। কর্মসংস্থানে জোর দেওয়া হবে। বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকার বলেন, তৃণমূলের জমানায় একটি কারখানা খোলেনি। এখানকার যুবকদের কাজের জন্য গুজরাতে যেতে হচ্ছে। সেখানে কাজের অভাব নেই।
এলাকার ভোটাররা বলছেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজনৈতিক ইস্যু না বানিয়ে তাঁদের কথা আন্তরিকভাবে ভাবা হোক। পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন মতিউর রহমান। তিনি বলেন, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, দক্ষিণ ২৪পরগনার পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানেও বহু পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন। তাঁদের অনেকেই ভোট দিতে পারেন না। ওঁদের ব্যালটে ভোট নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেছি। সেটা হলে হয়তো নেতাদের কাছে তাঁদের গুরুত্ব বাড়বে। তখন তাঁরা গুরুত্ব পাবেন।