সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
রানিগঞ্জ শহর ও অণ্ডাল ব্লক নিয়ে রানিগঞ্জ বিধানসভা এলাকা। বিধায়ক তৃণমূলের তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর জামাইবাবুই এবার বিজেপির প্রার্থী। সেকারণে নিজের বিধানসভা এলাকায় দলের প্রার্থীর লিড রাখাই তাঁর কাছে মর্যাদার লড়াই। তাপসবাবু বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রানিগঞ্জে প্রথমবার সভা করতে আসছেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর ভোকাল টনিকের পর কর্মীরা আরও বেশি উজ্জীবিত হবেন। আমরা রানিগঞ্জ বিধানসভা থেকে ভালো লিড পাব।
শিল্পাঞ্চলের সবচেয়ে প্রাচীন শহর রানিগঞ্জ। ২০১১সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয় পায় তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৬ সালে বিধানসভায় সিপিএম জয়ী হয়। ২০২১ সালে ফের রানিগঞ্জ বিধানসভায় ঘাসফুল শিবির জয় ছিনিয়ে নেয়। পুরসভা বা বিধানসভা ভোটে বিজেপি দাগ কাটতে না পারলেও ২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে লিড পায় বিজেপি। এখানে বিজেপির কোনও দাপুটে নেতা না থাকলেও অবাঙালি বলয়ে মোদি ম্যাজিক কাজ করে বলেই রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা। এবার ভোটে মোদি হাওয়া বা আবেগ নেই। রামনবমীতে মিছিল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের শহর সভাপতি রূপেশ যাদব বলেন, আমাদের দল সব উৎসব পালনের কথা বলে। সেই অনুযায়ী আমরা রামনবমীর বড় মিছিল বের করেছি। আমরা সবাইকে নিয়ে চলতে চাই।
তবে শুধু ধর্ম নয়, রানিগঞ্জের অনেক অপ্রাপ্তিও রয়েছে। যা মানুষের মনকে নাড়া দেয়। যেমন রানিগঞ্জ কয়লাখনি প্রকল্পের পুনর্বাসন এখনও হয়নি। যানজট সমস্যায় নাকাল হয় শহরবাসী। তেমনই রানিগঞ্জকে মহকুমা শহর করার দাবিও দীর্ঘদিনের। অভিষেকের ঘোষণার পরই ধূপগুড়ি মহকুমা হয়েছিল। এবার রানিগঞ্জের জন্য তেমন কোনও উপহার অভিষেক দেন কিনা সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন অনেকে।
রানিগঞ্জ বিধানসভায় লিড পেতে শহরের ভোট যেমন তৃণমূলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই অণ্ডাল ব্লকে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক উদ্বেগে রাখে বিজেপিকে। সেই অণ্ডাল ব্লকের খান্দরায় যোগী আদিত্যনাথকে দিয়ে সভা করিয়ে বিজেপি পালে হাওয়া টানতে চাইছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক শ্রীদীপ চক্রবর্তী বলেন, আমরা রানিগঞ্জ বিধানসভায় নিশ্চিতভাবে লিড পাব। যোগীজির সভায় রেকর্ড ভিড় হবে।