ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
এদিন পূর্বস্থলী-২ ব্লকের ছাতনির মোড়ে একটি লজে স্বাস্থ্যশিবিরের আয়োজন করে তৃণমূল। উপস্থিত ছিলেন পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়। সেখানে এদিন বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী শর্মিলাও। সারংপুর গ্রামের বাসিন্দা গগন শীল একটি ছোট সেলুন করে সংসার চালান। তাঁর একবার স্ট্রোকের মতো হয়েছিল। এখনও গা হাত পায়ে ব্যথা করে। তিনিও হাজির হয়েছিলেন শর্মিলার কাছে। খুঁটিয়ে তাঁকে পরীক্ষা করার পর কাগজে ওষুধ লিখে দেন চিকিৎসক প্রার্থী। পাটুলির ছাতনি গ্রামের বাসিন্দা চন্দনা ঘোষ পায়ে যন্ত্রণায় ভোগেন। মাথার যন্ত্রণায় ঠিকমতো কাজকর্ম করতে পারেন না। অম্বলের সমস্যায় তিনি কষ্ট পাচ্ছেন। শর্মিলাকে দেখেই তিনি বলেন, ‘দিদিমণি একটু দেখুন, খুব কষ্ট পাচ্ছি।’ শর্মিলা তাঁকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়ে দেন। রক্তচাপও মেপে দেখেন তিনি। এরপর তাঁকে খাবার সঠিক সময়ে খেতে পরামর্শ দেন চিকিৎসক প্রার্থী। পাশাপাশি বেশি জল খেতে বলেন। মধুপুরের বাসিন্দা নাসিরুদ্দিন শেখ তাঁর বছর বাইশের ছেলেকে নিয়ে আসেন। তাঁর ছেলের মানসিক সমস্যা রয়েছে। তাঁকে পরীক্ষা করে তৃণমূল প্রার্থী বলেন, এই রোগের নাম সিজিওফিয়া। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা করাতে হয়। নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। তিনি সমস্ত কাগজপত্র দেখে ওষুধ লিখে দেন।
এদিন স্বাস্থ্য শিবিরে শর্মিলাকে চিকিৎসক হিসেবে পেয়ে সবাই আপ্লুত। হরিশপুরের বাসিন্দা সায়মা বিবি বলেন, খুব ভালোভাবে আমাদের দেখেছেন তিনি। আমাদের এলাকায় প্রার্থী হবেন ভাবতে পারিনি। এলাকার বাসিন্দা নাসিরুদ্দিন শেখ বলেন, আমরা গ্রামের মানুষ। সবসময় পয়সা খরচ করেও বাইরে ভালোভাবে চিকিৎসা করাতে পারি না। কিন্তু হাতের কাছে একজন ভালো চিকিৎসক পাব ভাবতে পারিনি। স্বাস্থ্যশিবির থেকে বের হওয়ার সময় শর্মিলা বলেন, গ্রামের মানুষের সেবা করাই তো একজন চিকিৎসকের প্রকৃত ধর্ম। আর যা রোদ-গরম পড়েছে আমার নিজেরই ভয় লাগছে। বহু মানুষ প্রচারে যাচ্ছেন। তাঁদের দেখে ভয় হচ্ছে।