ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
কুনুর নদীর উৎসস্থল পশ্চিম বর্ধমানের উখড়ার কাছে ঝাঁঝরা গ্রাম। সেখান থেকে দুর্গাপুর-ফরিদপুর, কাঁকসা, আউশগ্রাম, মঙ্গলকোট এই চারটি থানা এলাকার মোট ১১২ কিলোমিটার এলাকা দিয়ে নদীটি বয়ে গিয়েছে। মঙ্গলকোটের কোগ্রামে অজয়ের সঙ্গে মিশেছে। কিন্তু মলানদিঘী ও কুলডিহা এলাকায় এই নদীর একাংশ দখল করে ভরাট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সঞ্জয় বাদ্যকর জানান, জেসিবি মেশিন দিয়ে নদীর একাংশ ভরাট করা হচ্ছিল। বিষয়টি নজরে আসতেই বিডিওর কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এইভাবে ভরাট করা হলে বর্ষার সময় গোটা এলাকায় বন্যা হবে। নদীর পাড় ভেঙে যাবে। পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিশ্বরূপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ওখানে যারা কাজ করছে সেই শ্রমিকরা ভয়ে মুখ খুলছে না। কে বা কারা কাজ করছে আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই। কাজ করার আগে পঞ্চায়েত থেকে কোনও অনুমতি নেয়নি। আমরা থানা সহ বিভিন্ন আধিকারিকদের জানিয়েছি।
বিরোধীদের অভিযোগ তৃণমূলের মদতেই নদী ভরাটের কাজ হচ্ছে। কংগ্রেস নেতা পূরব বন্দোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূলের সরকার চলছে অথচ তারাই বলছে আমরা জানি না। আসলে সবটাই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ।
বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, ডিভিসির জায়গা বিক্রি করে দেওয়া, এমএমসির কোয়ার্টার ভাড়া খাটানো থেকে শুরু করে এইসব কাজই করছে তৃণমূল। নদীকে বুজিয়ে দিয়ে পাড়ের মধ্যে জায়গা দেওয়া হচ্ছে। টাকা নেওয়া হচ্ছে। বিনিময়ে ভোট নেবে। বিরোধীদের অভিযোগ অস্বীকার করে কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য বলেন, এই কাজের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। আমাদের কাছে অভিযোগ আসতেই আমরা খতিয়ে দেখি। কাঁকসার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক রাজীব গোস্বামী বলেন, কাজটি বন্ধ করা হয়েছে।