কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এদিন বিজেপি প্রার্থী প্রণতবাবু বলেন, কেউ বা কারা ফেক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। আমাদের কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভোট করায়নি। আমার একটা প্রোফাইল ও একটি পেজ আছে। কারা করেছে জানি। সাইবার থানায় অভিযোগ করব। বিষয়টি ভীষণ হাস্যকর।
জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অজিত মাহাত বলেন, প্রার্থী না গেলে বিজেপির প্রচার বন্ধ থাকছে। কারণ বুথ স্তরে ওদের কোনও সংগঠন নেই। এক সময় কর্মীদের পাশে বিজেপির কোনও নেতা ছিল না। তাই সোশ্যাল মিডিয়ার থেকেও মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। বিজেপি এই আসনে গো হারা হারবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল জিতলেও বিজেপির সংগঠন বাড়তে শুরু করে। ধীরে ধীরে প্রতিটি এলাকায় বাড়তে থাকে বিজেপির কর্মী সমর্থকের সংখ্যা। যার ফল স্বরূপ ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বেশ কিছু আসন গিয়েছিল গেরুয়া শিবিরের দখলে। সেই সময় প্রথম সারির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঘন ঘন ঝাড়গ্রামে আসতেন। একইসঙ্গে মানুষের সামনে ঢালাও প্রতিশ্রুতি দিতে শুরু করেন। সেইমতো ২০১৯ সালের লোকসভা যায় বিজেপির দখলে। বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম ১২ হাজার ভোটে জয়লাভ করেন। কিন্তু এরপর একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জেলার চারটি আসনে হেরে যায় বিজেপি। আর সেই সময় থেকে বিজেপির সংগঠন দুর্বল হতে শুরু করে। এর জেরে ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে জেলায় গো-হারা হেরে যায় গেরুয়া শিবির। তবে এবারের লোকসভা ভোটে হারিয়ে যাওয়া মাটি ফিরে পেতে বিজেপি কর্মীরা ফের জোরকদমে প্রচার শুরু করেছে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় হেরে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে দল। জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ার ভোটে জিজ্ঞাসা করা হয়, ২০২৪ সালে ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে কোন দল জিততে চলেছে। এই প্রশ্নের জবাবে তৃণমূল ৬৪১টি ভোট, ভারতীয় জনতা পার্টি ৬০৯টি ও সিপিএম ২১টি ভোট পেয়েছে। যদিও এই ভোটের সত্যতা যাচাই করেনি বর্তমান।
বিজেপির এক নেতা বলেন, জেলায় বিজেপির আইটি সেল খুব দুর্বল। জেলার প্রথম সারির নেতৃত্ব এর জন্য দায়ী। বরং আগে খারাপ থাকলেও এখন তৃণমূলের আইটি সেল অনেক মজবুত। যারা বিভিন্ন পোস্ট করে প্রচার করছে। বিজেপির আইটি সেল মজবুত থাকলে এই সমস্যা হতো না।
বিজেপির জেলা সম্পাদক দীনবন্ধু কর্মকার বলেন, প্রার্থীর নামে অপপ্রচার করে হারানো যাবে না। তৃণমূল হেরে যাওয়ার ভয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমাদের প্রার্থী বিপুল ভোটে জিতবে।