কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, কান্দি মহকুমা কৃষিভিত্তিক এলাকা। ধান চাষ এলাকার প্রধান ফসল। এছাড়াও আলু, সরিষা, তিল, কলাই সহ শাকসব্জির জন্যও এই এলাকা জেলায় গুরুত্বপূর্ণ স্থান করে নিয়েছে। সেই হিসেবে এলাকায় অসংখ্য কৃষক বন্ধু উপভোক্তার নাম রাজ্য সরকারের খাতায় এনরোলমেন্ট হয়ে রয়েছে। তাঁরা যেমন সরকারি ভাবে বিনামূল্যে বীজ, কীটনাশক থেকে ভর্তুকিযুক্ত কৃষি যন্ত্রপাতি পেয়ে থাকেন। তেমনি বিনা মূল্যে কৃষিবিমার সুযোগ থেকে কৃষিঋণ নিয়ে চাষও করেন। এলাকার মোট ভোটারের অধিকাংশই কৃষক। তাই কৃষকবন্ধু উপভোক্তাদের মন পেতে মরিয়া চেষ্টা সব দলের পক্ষ থেকেই করা হচ্ছে।
কান্দি মহকুমা কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় মোট কৃষক বন্ধু উপভোক্তা রয়েছেন ২ লক্ষ ১৬ হাজার ৫১৪ জন। এরমধ্যে খড়গ্রাম ব্লক এলাকায় সবচেয়ে বেশি ৬০ হাজার জন রয়েছেন। পরে বড়ঞা ব্লক এলাকায় রয়েছেন ৫৫ হাজার ১৫ জন। কান্দি ব্লকে ৪১ হাজার ৭৩৩ জন, ভরতপুর ১ ব্লকে রয়েছেন ৩১ হাজার ৯৮১ জন ও ভরতপুর ২ ব্লকে রয়েছেন ২৭ হাজার ৭৮৫ জন।
এবারের ভোটে ওইসব চাষিদের মন পেতে বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। কৃষক বন্ধু উপভোক্তাদের সমর্থন পেতে সকাল সন্ধ্যা মাঠেঘাটেও ঘুরছে রাজনৈতিক নেতারা। শাসকদলের পক্ষ থেকে আবার রির্পোট কার্ড হাতে নিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। কান্দি ব্লকের হিজল পঞ্চায়েতের নতুনগ্রামের কৃষকবন্ধু উপভোক্তা আমির আলি শেখ বলেন, ভোটের জন্য সব দলের নেতারাই আমাদের কাছে প্রচারে আসছেন। তবে শাসকদলের নেতারা বেশি জোর দিচ্ছেন। রাজ্য সরকার কৃষকদের জন্য কী কী সুবিধা দিয়েছেন তা ওঁরা তুলে ধরছেন। পাশাপাশি বিজেপি নেতারাও এসেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের জন্য কী ব্যবস্থা নিয়েছে সেটা বলছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, রাজ্য সরকার কৃষকবন্ধু উপভোক্তাদের জন্য বিনামূল্যে বিমার ব্যবস্থা করার সঙ্গে ভর্তুকিযুক্ত কৃষি যন্ত্রপাতি বিলি থেকে সেচ ব্যবস্থা তৈরি করা সব কিছুই করেছে। তাই উপভোক্তারা শাসকদলের প্রার্থীকেই ভোট দেবেন এটা আশা করা যেতেই পারে। যদিও বিজেপির জেলা সহ সভাপতি সুখেন বাগদি বলেন, রাজ্য সরকার চাষিদের জন্য কী করেছেন সেটা চাষিরা ভালো করেই জানেন। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলি রাজ্য সরকার নিজের নাম দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে। তাই এবারের ভোটে কৃষকবন্ধু ভোটাররা আমাদের দিকেই ঝুঁকে রয়েছেন। কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক নরোত্তম সিংহ বলেন, চাষিদের সহযোগিতার রূপরেখা কংগ্রেস আমলেই তৈরি হয়েছিল। বিজেপি কৃষক শোষণ নীতি প্রয়োগ করেছে। আর তৃণমূল কংগ্রেস কৃষক বন্ধুদের ভাঁওতা ছাড়া কিছুই দেয়নি। আমাদের নেতৃত্ব চাষিদের ঘরে ঘরে প্রচার করে এই তথ্য তুলে ধরছেন।