সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
এগরা-২ ব্লকের দুবদার বাসিন্দা অচিন্ত্যবাবু, স্ত্রী, ছেলে, বউমা, নাতি এবং ছেলের শ্বশুর-শাশুড়ি, অচিন্ত্যবাবুর শ্যালকের স্ত্রী ও তাঁর মেয়ে মিলিয়ে ন’জন গত বৃহস্পতিবার পুরী গিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল, অচিন্ত্যবাবুর নাতির মানত শোধের পাশাপাশি পুরীর জগন্নাথ মন্দির দর্শন। অচিন্ত্যবাবুর ছেলে, বউমা ও নাতি আরও কয়েকটা দিন সেখানে কাটানোর জন্য পুরীতে রয়ে যান। বাকিরা ওই বাসে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মারা যান অচিন্ত্যবাবু।
মঙ্গলবার দুবদায় গিয়ে দেখা যায়, অচিন্ত্যবাবুর বাড়িতে প্রতিবেশী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড়। রাজকুমার দুয়ারী বলেন, অচিন্ত্যবাবু আমার পিসেমশাই। পিসেমশাইয়ের ছেলের শ্বশুর অনাদিনন্দন জানা গুরুতর জখম অবস্থায় কটক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকিরা কমবেশি জখম হয়েছেন। তাঁদের ফিরিয়ে এনে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হচ্ছে।
স্থানীয় বিধায়ক তরুণকুমার মাইতি মঙ্গলবার বিকেলে অচিন্ত্যবাবুর বাড়িতে যান। পরিবারের লোকজনের সমবেদনা জানান। পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, অচিন্ত্যবাবুর দেহ ওড়িশা থেকে আনার জন্য জেলা প্রশাসন যাবতীয় উদ্যোগ নিয়েছে।
ভূপতিনগর থানার রাধাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উড়উড়ি গ্রামের বাসিন্দা উত্তমবাবুর বাড়িতে ছিল প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনদের ভিড়। উত্তমবাবুর নার্ভের সমস্যা ছিল। গত ৯এপ্রিল ডাক্তার দেখানোর জন্য সপরিবারে ওড়িশা রওনা দিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী নীলিমা মাইতি, ছেলে আদিত্য ও মেয়ে শুভ্রা। ওড়িশায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে কয়েকদিন থেকে ভুবনেশ্বরে এইমস-এ চিকিৎসা করান উত্তমবাবু। তারপর সোমবার ডাক্তার দেখিয়ে তাঁরা বাড়ি ফেরার জন্য অভিশপ্ত ওই বাসে ওঠেন। বাস দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান উত্তমবাবু। এই ঘটনায় তাঁর স্ত্রী গুরুতর জখম হয়েছেন। মেয়ের সামনের তিনটি দাঁত ভেঙে গিয়েছে। ছেলেও জখম হয়েছে। সকলেই কটক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভগবানপুরের ভীমেশ্বরী বাজারে টেলারিং দোকান চালাতেন উত্তমবাবু। এদিন পঞ্চায়েত প্রধান উৎপলকান্তি ধাড়া মৃতের বাড়িতে যান। তিনি বলেন, আমরা সকালে থানা থেকে উত্তমবাবুর মৃত্যুর খবর পাই। প্রশাসনের সহযোগিতায় উত্তমবাবুর দেহ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
ভূপতিনগরে শোকার্ত পরিবার।-নিজস্ব চিত্র