কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
সংবাদাদাতা, ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম জেলাজুড়ে জোরকদমে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু হয়েছে। কখনও শহরতলি, আবার কখনও গ্রামাঞ্চলে সকাল-সন্ধ্যা প্রচারে ব্যস্ত তৃণমূল, বিজেপি ও সিপিএম। কিন্তু ঝাড়গ্রামের সবচেয়ে বড় সমস্যা হাতির তাণ্ডবের সুরাহা কোন পথে? এখনও এনিয়ে কোনও দলের প্রার্থী প্রচারে কিছু বলেননি। ফলে গ্রামবাসীরা হতাশ।সম্প্রতি ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে হাতির তাণ্ডব খুব বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। লোকসভা ভোটের আগেও গ্রামে গ্রামে মানুষের আলোচনায় উঠে আসছে হাতির হানা। জঙ্গল অধ্যুষিত বিভিন্ন ব্লকে সন্ধ্যার পর সাধারণ মানুষজন হাতির আতঙ্কে গৃহবন্দি হয়ে পড়ছেন। ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে ঝাড়গ্রামে হাতির হানায় ২৯জনের মৃত্যু হয়েছে। বাড়ি ভাঙচুর ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি ঝাড়গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে রোজনামচা হয়ে উঠেছে। শহরতলি বাদ দিলে ঝাড়গ্রাম গ্রামীণ, সাঁকরাইল, নয়াগ্রাম, জামবনী, লালগড়, বেলপাহাড়ীর বিভিন্ন গ্রামের মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। জঙ্গলের পাতা, মহুল, কাঠ কুড়োনো, ছাতু সংগ্রহের মতো রোজগারের রাস্তা কয়েক বছর ধরে বন্ধ। কয়েকহাজার চাষি ফসলের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।ঝাড়গ্রামের তৃণমূল প্রার্থী কালীপদ সোরেন বলেন, আমরা ভোটের প্রচারে মানুষের ভালো সাড়া পাচ্ছি। হাতির সমস্যা পুরো ঝাড়গ্রামজুড়েই রয়েছে। ময়ূরঝর্ণা এলিফ্যান্ট রিজার্ভ ঘোষণা হওয়ার এত বছর পরেও বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার এনিয়ে কিছুই করেনি। বিষয়টি নিয়ে দলে আলোচনা করে প্রচারে তুলে ধরব।ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডু বলেন, সবেমাত্র আমাদের প্রচার শুরু হয়েছে। জেলাজুড়ে যে হাতির সমস্যা রয়েছে, তার একটি চিরস্থায়ী সমাধান দরকার। ময়ূরঝর্ণা এলিফ্যান্ট রিজার্ভ বাম সরকারের আমলে ঘোষণা করা হয়। সেসময় কেন্দ্রে কংগ্রেস সরকার ছিল। তারা এতকাল কিছুই করেনি। আমাদের সাংসদ কুনার হেমব্রম সংসদে জিরো আওয়ারে এই বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন। রাজ্য সরকার তার যথাযথ উত্তর দিতে পারেনি। নির্বাচনী প্রচারের মানুষের কাছে আমরা এই ঘটনার কথা তুলে ধরব। সিপিএম প্রার্থী সোনামণি টুডু ফোন না ধরায় এবিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
