কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
সংবাদদাতা, কাঁথি: সোমবার বেলার দিকে সৈকতশহর দীঘার সমুদ্রে স্নান করতে নেমে স্পিডবোটের ধাক্কায় গুরুতর জখম হলেন এক মহিলা পর্যটক। বারবার এমন ঘটনায় পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, জখম মহিলার নাম ইয়াসমিন খাতুন। বাড়ি হাওড়া জেলার বাউড়িয়া এলাকায়। রবিবার তিনি পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দীঘায় বেড়াতে এসেছিলেন। এদিন নিউ দীঘার সমুদ্রে স্নানের সময় দ্রুতগতিতে থাকা স্পিডবোট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কার্যত তাঁর উপর দিয়ে চলে যায়। ব্লেডের আঘাতে হাত সহ শরীরের অন্যান্য জায়গায় আঘাত পান তিনি। তাঁকে নুলিয়ারা ও কর্তব্যরত পুলিস দীঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন। এদিকে ঘটনার পর পুলিস তদন্তে নামে। পুলিস স্পিডবোটটি বাজেয়াপ্ত করেছে বলে জানা গিয়েছে। শুধু সোমবারের ঘটনা নয়, এর আগেও কয়েকবার স্পিডবোটের ধাক্কায় গুরুতর জখম হয়েছেন পর্যটকরা। উল্লেখ্য, দীঘায় স্পিডবোট সহ ওয়াটার রাইডের প্রতি পর্যটকদের বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। পর্যটকদের অনেকে স্পিডবোট, জেটস্কি সহ নানা ওয়াটার রাইডিংয়ে চেপে অ্যাডভেঞ্চারে মেতে ওঠেন। বিভিন্ন সংস্থা ওয়াটার রাইড চালায়। কিন্তু ওয়াটার স্পোর্টস চালানোর ক্ষেত্রে যে নিয়মগুলি মেনে চলা দরকার, তা মানা হয় না বলে অভিযোগ। অনেকক্ষেত্রে পুলিস-প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া হয় না। কোনও ঘটনা ঘটলেও তার দায় কেউ নিতে চায় না। এর আগে দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থা ও পুলিস-প্রশাসন ওয়াটার রাইড চালায়, এমন সংস্থাগুলিকে নিয়ে আলোচনায় বসেছিল। বলা হয়েছিল, ওয়াটার রাইডগুলি নিয়ম মেনে চালাতে হবে। আর পর্যটকদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। কিন্তু এদিনের ঘটনা ফের পর্যটকদের নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রশ্নচিহ্ন ছুঁড়ে দিল। দীঘা থানার ওসি অভিজিৎ পাত্র বলেন, ওয়াটার রাইডগুলি নিয়ম মেনে চলছে কি না, তার জন্য নজরদারি চালানো হয়। এই ঘটনার পর নজরদারি আরও বাড়ানো হচ্ছে। তবে কোনও অভিযোগ এলে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
