কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
দেড়শো বছরের প্রাচীন এই শহরে এখনও পর্যন্ত নেই কোনও সুনির্দিষ্ট পার্কিং প্লেস। অবাধে চলছে অনুমতি বিহীন অটো ও টোটো। সেগুলি যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকছে, যাত্রী ওঠাচ্ছে ও নামাচ্ছে। পুর প্রশাসনের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই এইসব যানবাহনের উপর। মেদিনীপুর পুরসভা দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের দখলে রয়েছে। শহরের উন্নয়নের জন্য তারা অনেক কিছু করার চেষ্টা করলেও শহরকে যানজট মুক্ত করতে পারেনি আজও। যানজটের একটা বড় কারণ হিসাবে অবৈধ টোটোকেই দায়ী করছেন শহরবাসী। মেদিনীপুর শহরজুড়ে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার টোটো চলাচল করে। এরমধ্যে বৈধ টোটোর সংখ্যা মাত্র সাড়ে ন’শ। শহরবাসীর অভিযোগ, ব্যাটারি চালিত এই যান চলাচলে কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই প্রশাসনের। প্রশাসন ও তৃণমূলের একশ্রেণির নেতাদের মদতেই শহরে অবৈধ টোটোর রমরমা। জেলা বিজেপির সহ সভাপতি শঙ্কর গুছাইত বলেন, টোটো পিছু কমিশন সময়ে পৌঁছে যায় নেতাদের পকেটে। তাই টোটো বন্ধে বিশেষ হেলদোল নেই পুরসভার। তাছাড়া শহরে নির্দিষ্ট কোনও পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই। মেট্রো সিটির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শহরের গত কয়েক বছরে বহু শপিং মল, শোরুম খুলেছে। কিন্তু নিজস্ব পার্কিং নেই। রাস্তার উপরেই রেখে দেওয়া হচ্ছে গাড়ি। মেদিনীপুর শহরের বড়বাজার, ছোটবাজার, স্কুলবাজার, নিমতলা চক, সহ বেশ কিছু জায়গা অত্যন্ত ঘিঞ্জি। সেসব রাস্তা দিয়ে চলাচল করাটাই দুঃসাধ্য। এইসব জায়গায় একবার বড় গাড়ি ঢুকে গেলে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় পথ চলতি মানুষকে। তাছাড়া রাস্তা সঙ্কীর্ণ হওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে শহরে ঢুকতেও বেগ পেতে হয়।
তাছাড়া, মেদিনীপুর শহরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার দু’ধারের অনেকাংশই হকারদের দখলে চলে গিয়েছে। ফুটপাত ছেড়ে রাস্তার উপর দোকান এগিয়ে এনেছেন তাঁরা। তাছাড়া স্থায়ী ব্যবসায়ীদের অনেকেই রাস্তার উপর দোকানের জিনিসপত্র রাখতে শুরু করেছেন। একাধিক ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ী নিজেদের জিনিসপত্র নিয়ে রাস্তার উপর পসরা সাজিয়ে বসে পড়ছেন। ফলে ক্রমশই সংকীর্ণ হচ্ছে রাস্তা। বাসিন্দাদের মত, অবৈধ টোটো বন্ধ হলে শহর অনেকটাই যানজট মুক্ত হবে। পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান বলেন, এনিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। শীঘ্রই আমরা ব্যবস্থা নেব।
যদিও প্রতি বছরই ভোটের সময় নেতারা এ ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন বলে দাবি বাসিন্দারা। গত পুরভোটেও যানজট মুক্ত শহরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রার্থীরা। ভোটে জিতে সেসব প্রতিশ্রুতি হয়তো ভুলে গিয়েছেন নেতারা। কিন্তু মানুষ তা ভুলে যাননি। তাই এবারের নির্বাচনে যানজট যে অন্যতম ইস্যু হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।