উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে কান্দি মাস্টার প্ল্যান নিয়েও খোঁজ নেন। দপ্তরের আধিকারিক বলেন, খালগুলি সংস্কার হয়ে গিয়েছে। দ্রুত কাজ এগচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী রেজিনগরে ছোট শিল্প করার জন্য চেম্বার অব কমার্সকে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এই জেলার ছেলেমেয়েরা কাজে দক্ষ। তাদের মধ্যে কাজ করার প্রবণতা অনেক বেশি।
মুখ্যমন্ত্রী আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, গরিব মানুষ যাতে কোনও ভাবে হয়রানির শিকার না হয় তা আপনাদের দেখতে হবে। সব প্রকল্প মানুষকে দেওয়ার জন্য। রেশন কার্ডের আবেদনেও কারও ভুল থাকলে তাঁদেরকে বুঝিয়ে বলুন। তিনি জেলার কৃষি দপ্তরের কাজ নিয়েও প্রশংসা করেন। জেলার পক্ষ থেকে তাঁকে জানানো হয় কৃষকবন্ধু প্রকল্পে ২ লক্ষ ৫১হাজার নাম এন্ট্রি হয়েছে। তারমধ্যে ২ লক্ষ ৩৭ হাজার চেক পেয়ে গিয়েছেন। কিষাণ মাণ্ডিগুলিও ভালোভাবে চলছে বলে জানানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী রাজশাহী সিল্কের ধাঁচে মুর্শিদাবাদের সিল্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। প্রয়োজনে আর্ট কলেজের পড়ুয়াদের সহযোগিতা নেওয়ার জন্যও তিনি বলেন।
আধিকারিকদের কাছে থেকে মুখ্যমন্ত্রী কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজ সাথী প্রকল্পগুলি সম্পর্কেও জানতে চেয়েছিলেন। এছাড়া সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের জেলার শ্রমিকরা সহযোগিতা পাচ্ছেন কিনা সেটাও তিনি জানতে চান। রাজ্যে এই প্রকল্পে ১ কোটি ১৯ লক্ষ নাম নথিভুক্ত হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তথ্য দেওয়া হয়। এছাড়া ইলিশ মাছ সংরক্ষণ নিয়ে কিছু করা যায় কিনা তা নিয়েও তিনি আধিকারিকদের খোঁজ খবর নিতে বলেন।
এদিনের বৈঠকে রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এদিনের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বহরমপুরের সংসদ সদস্য অধীর চৌধুরীকেও। তবে তিনি বৈঠকে হাজির ছিলেন না। কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, মঙ্গলবার রাতে সংসদ সদস্যকে মেল করে বৈঠকে থাকার আমন্ত্রণ জানানো হয়। উনি দিল্লিতে রয়েছেন। তাই তাঁর পক্ষে আসা সম্ভব হয়নি। এই প্রথম তিনি এধরনের বৈঠকে ডাক পেলেন। আগে থেকে জানতে পারলে সুবিধা হতো। তবে আমরা খুশি হতাম বিধায়কদের ডাকলেও।
প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী পুলিসের কাজেও সন্তুষ্ট ছিলেন। তবে তিনি পুলিসকে আরও বেশি জনসংযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দেন। পাশাপাশি বাইরে থেকে কেউ এসে ইনডোর মিটিং করতে চাইলে আগে থেকে ভালোভাবে খোঁজখবর নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বেশ কয়েকটি সাব স্টেশনের শিলান্যাস করেন। জেলার বিভিন্ন ব্লকের ১৫০টি নতুন রাস্তা তৈরির কাজের সূচনা তাঁর হাত ধরে হয়েছে। এছাড়া লালগোলা, সূতি-১ ব্লকে আর্সেনিকমুক্ত জল প্রকল্প, খড়গ্রাম, হরিহরপাড়ায় ইন্ডোর গেম কমপ্লেক্স সহ বহু প্রকল্পের শিলান্যাস তিনি করেছেন।