উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নবদ্বীপ ব্লকের অন্তর্গত মাঝদিয়া-পানশিলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০৯ নম্বর বুথের স্কুল মাঠপাড়ার বাসিন্দা হিসাবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় তালিকায় নাম আসে ওই ব্যক্তির। অথচ ওই ব্যক্তি বছর চারেকেরও বেশি সময় আগে গ্রাম ছেড়ে চলে গিয়েছেন। ইতিমধ্যে ভোটার তালিকা থেকে তাঁর ও পরিবারের নাম কাটা গিয়েছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ও মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের মিঠুন দেবনাথ বলেন, ওই ব্যক্তি আগে এই গ্রামে বসবাস করলেও বর্তমানে স্বরূপগঞ্জ পঞ্চায়েত এলাকায় পরিবার নিয়ে চার বছরের বেশি সময় বসবাস করেন। মিঠুন বাবু বলেন, তপন ভৌমিক তাঁর বাড়ির সমস্ত অংশ বছর চারেক আগে তাঁর ভাইকে বেচে দেন। তারপর ওই বুথের বিএলও পরিবারের অস্তিত্ব না পেয়ে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেন। নোটিস জারি করেন। হেয়ারিংয়ের দিনও অনুপস্থিত ছিলেন ওই ব্যক্তি। ফলে ভোটার লিস্ট থেকে তাঁর নাম বাদ যায়। মিঠুনবাবুর অভিযোগ, ২০৯ নম্বর বুথে মোট ভোটারের সংখ্যা ৮৭১ জন। তারমধ্যে ওই ব্যক্তির এর নাম নেই। তা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় তালিকায় নাম চলে আসে।
ব্লক অফিসের সহকারী নির্বাচনী আধিকারিক স্বপন সরকার বলেন, চলতি ভোটার তালিকায় তপন ভৌমিকের নাম না থাকলেও আগামী বছরের তালিকায় ৮৮৫ নম্বরে নাম আছে। এদিকে, এনিয়ে মিঠুনবাবুর সঙ্গে ওই নির্বাচনী আধিকারিকের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। নির্বাচনী আধিকারিকের অভিযোগ, ওই সদস্য তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তাঁর টেবিলে থাকা ফাইল ফেলে দেন। ঘটনায় অভিযোগ জানাতে মঙ্গলবার বিকেলে নবদ্বীপ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়।
অন্যদিকে, পঞ্চায়েত সদস্য মিঠুন দেবনাথ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সবটাই মিথ্যা, সাজানো গল্প। আমি কোনও ফাইল ফেলে দিইনি এবং গালিগালাজও করিনি। বিজেপি সিপিএম জোট পরিচালিত মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় অবৈধ উপায়ে ঘর পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা ধরা পড়ে যায়। আমি বিডিওকে লিখিত আকারে অভিযোগ জানিয়েছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ছি এবং লড়ব। মাজদিয়া পানশিলা পঞ্চায়েতের প্রধান পবিত্রা নন্দী বলেন, তপন ভৌমিকের যে জায়গা ছিল, সেটা তাঁর ভাইকে বিক্রি করে স্বরূপগঞ্জ পঞ্চায়েতের ১৭ নম্বর গাদিগাছ মৌজায় জায়গা নিয়ে বাড়ি করে তিনি বসবাস করছেন।