বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, সাধারণত সীসা ব্যাটারি তৈরিতে ব্যবহার করা হলেও বন্দুকের গুলি বা কার্তুজ তৈরি ক্ষেত্রেও সীসা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সীসাগুলি কলকাতা থেকে বাসে শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সীসা দিয়ে ব্যাটারি তৈরি করতেই বাসে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, না এর পিছনে কোনও অসৎ চক্র কাজ করছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। তবে খালাসিকে আটক করা হলেও যাত্রীবোঝাই বাসটি ছেড়ে দেওয়া হয়। সীসাগুলি ভুটান, নেপাল, বাংলাদেশ বর্ডার দিয়ে চোরাচালানকারীদের পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কিনা পুলিস তাও খতিয়ে দেখছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে রানাঘাটের মিশন গেট এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর রানাঘাটের এসডিপিও লাল্টু হালদারের নেতৃত্বে পুলিসের নাকা চেকিং চলছিল। সেখানে সমস্ত গাড়ি ও মোটরবাইক চেকিং করা হচ্ছিল। মদ্যপান করে কোনও ড্রাইভার গাড়ি চালাচ্ছে কিনা, তাও যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছিল। এর মাঝে পুলিসের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে, কলকাতা থেকে শিলিগুড়িগামী একটি বাসের ছাদে বস্তাবন্দি অবস্থায় প্রচুর পরিমাণে সীসা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাসটি রাতে মিশন গেটের কাছে এলে পুলিস ওই বাসটিকে দাঁড় করায়। বাসে তল্লাশি শুরু হয়। কিন্তু বাসের ভিতর থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি। এরপর পুলিসের সন্দেহ হওয়াতে বাসের ছাদেও তল্লাশি চালানো হয়। প্রায় ৫০ কেজি ওজনের ৫৫টি বস্তা বাসের ছাদ থেকে নামাতে পুলিসকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। বাস থেকে নামানোর পর বস্তা খুলে দেখা যায়, কিছু বস্তার মধ্যে সীসার গুঁড়ো ও কিছু বস্তার মধ্যে মোট ১১৬টি সীসার বাট রয়েছে। সীসাগুলি দেখে পুলিসের সন্দেহ হয়। বস্তার মালিকের খোঁজ করা হলে, বাসের খালাসি জানায়, সেগুলি কয়েকজন ব্যক্তি কলকাতা থেকে তুলে দেয়। শিলিগুড়ি থেকে তাদের লোক নামিয়ে নেবে বলে জানানো হয়। এরপর পুলিস তাদের সীসার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বলে। কিন্তু এতগুলি সীসার কোনও বৈধ চালান বা কাগজপত্র দেখাতে না পারায় পুলিস ওই বাসের খালাসিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি হয়ে অনেক কিছুই বাংলাদেশ ও ভুটানে পাচার করে চোরাচালানকারীরা। তবে বেশ কিছুদিন ধরে পুলিসের নাকা চেকিং, কড়া মনোভাব, ধরপাকড়ের ফলে চোরাচালানকারীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। নদীয়া জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাচীন শহর রানাঘাট। নিত্যদিন এই শহরের গা ঘেঁষে জাতীয় সড়ক দিয়ে হাজার হাজার গাড়ি যাতায়াত করে। চোরাচালানকারীরা কখন কোন ধরনের গাড়ি ব্যবহার করবে সেটাও সব সময় পুলিসের পক্ষে বোঝা সম্ভব হয় না। তাই মাঝে মাঝেই পুলিস নাকা চেকিং শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা সমীর বিশ্বাস বলেন, পুলিসের এই নাকা চেকিংয়ের উদ্যোগ সত্যই প্রশংসনীয়। এর ফলে দুষ্কৃতীরা বেআইনি মাল নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে একবার হলেও ভাববে। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, উদ্ধার হওয়া সীসাগুলির মূল্য অনেক। সীসার বস্তাগুলির বৈধ কাগজ দেখাতে না পারলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।