বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এদিন শহরের বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, খড়গপুর, কেশপুর, গড়বেতা সহ বিভিন্ন রুটের একাধিক বাস রয়েছে। এক বাস কর্মী বলেন, ২১ জুলাই বহু বাস তুলে নেওয়া হয়। এবার তা করা হয়নি। কেন ওরা বাস নেয়নি তা বলতে পারব না। তবে, বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীর সংখ্যা অনেক কম।
এক যাত্রী বলেন, খুব দরকার বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছি। বাস পাওয়া নিয়ে সংশয়ে ছিলাম। কিন্তু, ২১ জুলাইয়ে বাসস্ট্যান্ডে এত বাস থাকবে তা ভাবতে পারিনি। তবে, বাস তুলে নিয়ে স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত করে না তোলায় সাধারণ যাত্রী হিসেবে আমাদের ভালো লাগছে।
জেলার বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মৃগাঙ্ক মাইতি বলেন, মেদিনীপুর শহরের বাসস্ট্যান্ডে বিভিন্ন রুটের প্রায় চারশটি বাস রয়েছে। গতবার তিনশোটি বাস ২১ জুলাইয়ের জন্য নেওয়া হয়েছিল। এবার সেখানে দেড়শ বাস নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, গোটা জেলায় হাজারখানেক বাস রয়েছে। তারমধ্যে গতবার প্রায় ৬০০ বাস নেওয়া হয়েছিল। এবার সাড়ে তিনশো বাস নেওয়া হয়েছে। আসলে অধিকাংশ কর্মী, সমর্থক ট্রেনে গিয়েছেন। তাই বাসের ততটা প্রয়োজন হয়নি। আর বেশি বাস না নেওয়ায় বাস চলাচল প্রায় স্বাভাবিক রয়েছে।
এনিয়ে অবশ্য বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক অরূপ দাস বলেন, মানুষ এখন তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই এবার এই জেলা থেকে অনেক কম কর্মী, সমর্থক ওদের সভায় গিয়েছে। ফলে, এবার আর বেশি বাসের প্রয়োজন হয়নি। তাই বাস চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
বিরোধীদের কটাক্ষ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, এবার আমরা ট্যুরিস্ট বাস, দূরপাল্লার বাস বেশি নিয়েছি। জনজীবন বিপন্ন যাতে না হয় তার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই রুটের বাস অনেক কম নেওয়া হয়েছে। আর অধিকাংশ কর্মী, সমর্থক শনিবার সন্ধ্যা থেকেই সভাস্থলে যেতে শুরু করেছিলেন। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় আমরা তাদের রাখার ব্যবস্থা করেছিলাম। সব মিলিয়ে এবার জেলা থেকে প্রায় ৭০ হাজার কর্মী, সমর্থক সভায় গিয়েছিলেন।
এদিকে এদিন সকালে ট্রেনে করে সভায় যাওয়া কর্মীদের ব্যাচ বিলি করার জন্য মেদিনীপুর রেল স্টেশনে ঢোকার মুখে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি ক্যাম্প করা হয়। তবে, ট্রেনে করে সভায় যাওয়ার খুব বেশি কর্মী, সমর্থক চোখে পড়েনি।