নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: ডেঙ্গুর তুলনায় জলপাইগুড়ি জেলায় উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ম্যালেরিয়া। মঙ্গলবার পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ে জেলাস্তরের একটি বৈঠক শেষে এই তথ্য উঠে এসেছে। জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত জেলায় ম্যালেরিয়া আক্রান্ত ১৪০ জন। সেখানে একই সময়সীমার মধ্যে জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ জন জেলাবাসী। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ম্যালেরিয়ায় সবচাইতে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে নাগরাকাটার ব্লকের বামনডাঙা ও কলাবাড়িতে। বনাঞ্চল, চা বাগান ঘেরা ওই এলাকায় মারাত্মকভাবে ছড়াচ্ছে ম্যালেরিয়া। প্রতিরোধে ওই এলাকায় বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এলাকাকে হটস্পট হিসেবেও দেখা হচ্ছে। সেসঙ্গে ওই এলাকায় বেশি করে মশারি বিলি করে, সচেতনতামূলক প্রচার করা হচ্ছে। পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচিতেও বাড়তি জোর দেওয়া শুরু হয়েছে। জলপাইগুড়ির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ অসীম হালদার বলেন, পতঙ্গবাহিত রোগের প্রবণতা রয়েছে। কিন্তু ১০ বছরে একটা নির্দিষ্ট এলাকায় লাগাতার ম্যালেরিয়া হয়নি। কয়েক বছর ধরে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০-এর ঘর পার করেনি। এবারই নাগরাকাটার বামনডাঙা ও কলাবাড়িতে ম্যালেরিয়া রোগী বেশি। জেলায় সর্বমোট ১৪০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে সিংহভাগই ওই এলাকার। তবে স্বাস্থ্যদপ্তর ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু সহ পতঙ্গবাহিত রোগ দমনে লাগাতার যাবতীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। সেসঙ্গে মশারি বিলি করার কাজও হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কয়েক বছর ধরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা জলপাইগুড়িতে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালেও ৩৯০০ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। মৃত্যু হয় চারজনের। ধারাবাহিক কর্মসূচি নেওয়ায় গতবছর সেই পরিসংখ্যান অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে। গতবছর ৯৯৩ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। কিন্তু মৃত্যুর কোনও ঘটনা ঘটেনি।