আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
লোকসভা ভোট ঘোষণার পর এই প্রথম জেলায় সভা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ফলে ঘাসফুল শিবিরের প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না।
মালদহ জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, গাজোল কলেজ ময়দান ও মানিকচকের এনায়েতপুর ফুটবল মাঠে মুখ্যমন্ত্রী সভা করবেন। দু’টি সভায় আমরা কমপক্ষে ২৫ হাজার করে জমায়েত করার লক্ষ্য নিয়েছি। রাস্তা থেকে বেসরকারি বাস বেশি তোলা হচ্ছে না। ছোট গাড়ি, টোটো, অটোয় চেপে মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যাবেন। ফলে বাস যাত্রার ক্ষেত্রে হয়রানি হওয়ার আশঙ্কা কম। তিনি আরও বলেন, গাজোলে ১১টা নাগাদ সভা শুরু হবে। মানিকচকে বেলা ১টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছে যাবেন বলে আমরা মনে করছি।
গাজোল কলেজ মাঠে শুক্রবার দিনভর পুলিস ও প্রশাসনের তরফে নিরাপত্তার দিকগুলি খতিয়ে দেখা হয়। ওই মাঠ চত্বরে অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরির কাজ চলে। পাশাপাশি, তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে গাজোল জুড়ে ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন টাঙানোর কাজ চলছে। গাজোল ব্লক তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়ন সভাপতি অরবিন্দ ঘোষ বলেন, ব্লকের ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। সব জায়গা থেকে মহিলারা আসার জন্য উৎসাহী হয়ে রয়েছেন। তাঁদের সুবিধার জন্য মোট ৩০টি বাস, ৫০০ টোটো, ২০০টি ছোট যানবাহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও প্রচুর বাইক থাকছে। সেগুলিতে দলের যুব সংগঠনের কর্মীরা সভায় আসবেন। গাজোলের মতো এদিন মানিকচকের এনায়েতপুরেও মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়। পুলিসের পাশাপাশি তৃণমূলের নেতানেত্রীরাও সভার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন।
এদিকে, তৃণমূল নেত্রীর সভার আগের দিন শুক্রবার গাজোল দলের যুব কংগ্রেসের সংগঠনকে ঢেলে সাজানো হল। এদিন গাজোলের ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতে কনভেনর এবং যুব কনভেনর নিয়োগ করা হয়েছে। গাজোলের তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কনভেনর মলয় সরকার বলেন, আমাদের ব্লকে যুব সংগঠন দীর্ঘদিন সক্রিয় নেই। সেজন্য গ্রাম পঞ্চায়েত ভিত্তিক কনভেনর নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা আগামী দিনে দলের হয়ে প্রচার এবং ভোটের জন্য লড়াই করবেন।
নিজস্ব চিত্র