আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
মেয়র বলেন, নির্বাচন কমিশনের আইন অনুসারে ভোটার ছাড়া সংযোজিত ওয়ার্ডে অন্য এলাকার লোক প্রবেশ করতে পারব না। সেজন্যই দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি সীমানায় ঘাঁটি গেড়ে ভোটযুদ্ধের ময়দান তদারকি করব।
অন্যদিকে, শহরের সংযোজিত এলাকায় অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে পুলিস। বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করার পাশাপাশি ক্যুইক রেসপন্স টিম ও পেট্রোলিং টিম রাখছে। এনজেপি ও ভক্তিনগর থানার একাধিক জায়গায় শুরু করা হয়েছে নাকা তল্লাশি। প্রতিটি চেকপোস্টে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকররা বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
শিলিগুড়ি শহরের কলেজপাড়ার বাসিন্দা মেয়র। সংশ্লিষ্ট এলাকা ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে। কিন্তু গত পুরভোটে শহরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত হয়ে মেয়র হন তিনি। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড শহরের সংযোজিত এলাকা। যা জলপাইগুড়ি জেলার ভূখণ্ড। পুরসভার অধীনে এমন আরও ১৩টি সংযোজিত ওয়ার্ড রয়েছে। অর্থাৎ ১৪টি সংযোজিত ওয়ার্ড জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলির মেয়র হলেও আজ ভোটগ্রহণের সময় এলাকাগুলিতে যেতে পারবেন না গৌতম। কারণ তিনি সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটার নন। কমিশনের আইন অনুসারে ‘বহিরাগত’।
আইনের এমন বেড়াজালের মধ্যেও নির্বাচনী জমি ছাড়তে নারাজ গৌতম। তিনি ইতিমধ্যেই দার্জিলিং-জলপাইগুড়ি জেলার সীমানায় দলীয় কর্মীর বাড়িতেই খুলেছেন ওয়াররুম। যা শহরের ডাবগ্রামে। সেখানে কম্পিউটার ও টিভি বসানো হয়েছে। রুমে রয়েছে একাধিক মোবাইল ফোন। লিগাল সেলের সদস্যরাও থাকবেন। সেই বাড়ির পার্কিংয়ে সর্বক্ষণ থাকবে তাঁর গাড়ি এবং বাইক নিয়ে প্রস্তুত থাকবেন দলীয় কর্মীদের একাটি টিম।
মেয়র বলেন, আমি মেয়র হলেও জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটার নই। তাই সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে প্রবেশ করতে পারব না। তবে সকাল ৬টা থেকে ভোটের ময়দান তদারকি করব। মোবাইল ফোনে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখব। প্রয়োজন পড়লে বের হব। ভোটের ময়দানের পাশাপাশি গোটা শহরের নাগরিক পরিষেবার উপর নজর রাখব।
এদকে, জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনের প্রচার শেষ। এবার দার্জিলিং আসনে প্রচারে জোর দিয়েছেন মেয়র। এদিন তিনি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সঙ্গে নির্বাচনী বৈঠক করেন। সেখানে ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার, মেয়র পরিষদ সদস্য মানিক দে প্রমুখ ছিলেন। এরপর রেগুলেটেড মার্কেটে সভা করেন। সেখানে বিভিন্ন সংগঠন থেকে ১৫০ জন শ্রমিক তৃণমূলে যোগ দেন। মেয়র ছাড়াও সভায় বিতর্কিত মেয়র পরিষদ সদস্য দিলীপ বর্মন হাজির ছিলেন। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে পদযাত্রাও করেন।