সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
এই তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে মহিলা ভোটার বেশি থাকার সুবিধা বা ফায়দা কোন দল পাবে, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। বিজেপি ও তৃণমূল উভয় দলেরই দাবি, তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে মহিলা ভোটার বেশি থাকার সুবিধা তারাই পাবে। এর জন্য যুযুধান দুই দলই নিজেদের স্বপক্ষে যুক্তি দেখিয়েছে।
কালচিনি বিধানসভায় মোট ভোটার ২ লক্ষ ৫৩ হাজার ২৬৬ জন। এই বিধানসভায় মোট ভোটারের মধ্যে মহিলা ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৬১৯ জন। পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৬৪২ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৫ জন। মাদারিহাট বিধানসভায় মোট ভোটার ২ লক্ষ ১৯ হাজার ৮০০। এরমধ্যে মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ১১ হাজার ৭১৯। পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৮ হাজার ৭৪। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৭। অন্যদিকে, নাগরাকাটা বিধানসভায় মোট ভোটার ২ লক্ষ ৪৪ হাজার ২৪৮। এরমধ্যে মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৩৩৮। পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৯০৭। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৩ জন।
তিনটি বিধানসভার মধ্যে পুরুষ ভোটারের তুলনায় কালচিনিতে ৩৯৭৭, মাদারিহাটে ৩৬৪৫ ও নাগরাকাটায় ৬৪৩১ জন মহিলা বেশি। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে মহিলা ভোটাররাই আসন্ন লোকসভা ভোটে ট্রাম্পকার্ড হতে চলেছে। বিজেপি ও তৃণমূল উভয় দলেরই দাবি, মহিলা ভোটার বেশি হওয়ায় ওই তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে তাদের দলই সুবিধা পাবে।
তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশচিক বরাইক বলেন, মহিলা ভোটার বেশি থাকায় ওই তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে তাঁদের দলই সুবিধা পাবে। কারণ কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, রূপশ্রী ও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য উপকৃত হয়েছেন মহিলারাই। ফলে ওই তিনটি বিধানসভায় আমরা বিপুল ভোট পেতে চলেছি।
পাল্টা যুক্তি দেখিয়ে বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা বলেন, ওই তিনটি বিধানসভায় মহিলা ভোটার বেশি থাকার সুবিধা তৃণমূলের মিলবে না। আমাদের দল সংসদে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মহিলা স্বশক্তিকরণের উপরে জোর দিয়েছেন। ফলে ওই তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে মহিলা ভোটার বেশি থাকার সুবিধা আমাদের দলেরই মিলবে।