সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
গ্রীষ্মকাল পর্যটন ব্যবসার অন্যতম মরশুম। এপ্রিল থেকে এই মরশুমের সূচনা হয়। বেশকিছু দিন ধরে সমতলে গরমের দাপট ক্রমবর্ধমান। এই অবস্থায় লোকসভা ভোটের জেরে এবার চলতি মাসে পাহাড়ে পর্যটকদের ভিড় সেভাবে হয়নি। দুই দফায় উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাট আসনের ভোট শেষ হয়েছে। এখন ঠান্ডার আমেজ নিতে পাহাড়মুখী হচ্ছেন পর্যটকরা। মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই পাহাড়ে ভিড় আরও বাড়বে। কারণ, সরকার পোষিত ও সরকারি স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি শুরু হয়েছে। এখন পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু দার্জিলিং।
উত্তরের ট্যুর অপারেটর সম্রাট সান্যাল বলেন, এবার এপ্রিলে পর্যটকদের ভিড় কিছুটা কম। তবে মে’র প্রথম সপ্তাহ থেকে পাহাড়ে হোটেল, লজ, হোম স্টের ৮৫ শতাংশ রুম বুকিং রয়েছে। মে মাসের মাঝামাঝি সময় ভিড় আরও বাড়বে। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি অন্য রাজ্য থেকেও পর্যটকরা আসবেন।
এদিকে দার্জিলিং বাদে কার্শিয়াং ও কালিম্পংয়ে থাবা বসিয়েছে গরম। দিনে কার্শিয়াং ও কালিম্পংয়ে দোকান, বাড়ি ও হোটেলের রুমে ফ্যান চালাতে হচ্ছে। ফলে স্বস্তিতে নেই স্থানীয় বাসিন্দারা। স্বস্তির জন্য পর্যটকদের একাংশ সংশ্লিষ্ট দু’টি জায়গায় গিয়ে দরদর করে ঘামছেন। রাতে অবশ্য ঠান্ডার আমেজ ফিরছে। বাসিন্দারা বলেন, এখনই যদি দিনে ফ্যান চালাতে হয়, তা হলে আর কিছুদিন পর পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হবে। পর্যটকরা বলেন, দিনে গরমে অস্বস্তি লাগলেও রাতের আবহাওয়া মনোরম। বেশ স্বস্তি মিলছে।
শিলিগুড়ির পর্যটন ব্যবসায়ী রাজ বসু বলেন, কার্শিয়াং, কালিম্পংয়ে শহরাঞ্চলে দিনের বেলায় ফ্যান ব্যবহার করতে হচ্ছে। তবে পাহাড়ের উপরিভাগে অবস্থিত গ্রামগুলির হোমস্টে, রিসর্ট, লজে থাকা পর্যটকরা আরামেই রয়েছেন।
এদিকে সমতলভাগে গরম কমার পূর্বভাস না থাকলেও বিক্ষিপ্তভাবে কিছু জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সিকিম কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী বুধবার স্থানীয়ভাবে বর্জ্রগর্ভ মেঘ তৈরি করে দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে বিক্ষিপ্তভাবে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তাতে গরম কমার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছেন সিকিম কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা। একইসঙ্গে তিনি নিম্নচাপ অক্ষরেখার জেরে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন। তিনি জানান, বাতাসের উপরিভাগে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে। আর বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণ জলীয়বাষ্প প্রবেশ করবে। এরজেরেই আগামী রবিবার উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।