পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
বাসিন্দারা জানান, হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লক প্রশাসনিক ভবন থেকে ১ কিমি দূরে কানখোল নদীর শাখা কোবিয়া ও মির্জামনি খালের সংযোগস্থলে অবস্থিত রামরাইঘাট সেতু এখন মৃত্যু ফাঁদ। বর্তমানে যা অবস্থা তাতে সেতুটি যেকোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে। অথচ সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেই। এনিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যায় এই সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দু’দিক বসে গিয়ে মাঝখানে ফাটল ধরে যায়। সেইসঙ্গে ব্রিজের নীচের অংশের অনেকটা ভেঙে গিয়ে বন্যার জলে ভেসে যায়। তারপর প্রায় সাত বছর কেটে গেলেও সেতু মেরামতের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অথচ হরিশ্চন্দ্রপুর সদরে আসার মুখে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু।
স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ শামীম বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এই সেতু। সেতুর পিলারে ফাটল ধরেছে, দু’পাশ বসে গিয়েছে। আমরা একাধিকবার প্রশাসনের কাছে সেতু সংস্কারের দাবি জানিয়েছি। লোকসভা নির্বাচনের আগে যাঁরাই ভোটপ্রচারে আসুন না কেন আমরা তাঁদের কাছে সেতুর দাবি তুলে ধরব।
হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের কনুয়া, রামপুর, মহেন্দ্রপুর সহ হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের মশালদহ, দৌলতপুর অঞ্চলের মানুষও এই পথ দিয়ে যাতায়াত করেন। রামরাইঘাট থেকে হাসপাতাল মোড় হয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর সদরে প্রবেশের বিকল্প ও শর্টকাট পথ হিসেবে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন এই রাস্তা দিয়ে।
এপ্রসঙ্গে উত্তর মালদহের কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম বলেন, সেতুটি ভেঙে পড়লে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। এই বিষয়ে প্রশাসনকে বহুবার জানানো হয়েছে। রাজ্যের শাসক দলের উদাসীনতার জন্য কাজ হয়নি। উত্তর মালদহের বিজেপির বিদায়ী সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, রাজ্য সরকার এলাকার উন্নয়নে কোনও কাজ করছে না। শাসক দলের নেতারা চুরি করতেই বেশি ব্যস্ত। মানুষ তাদের জবাব দেবে।
যদিও এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন বলেন, বিজেপি সাংসদ পাঁচ বছরে এলাকার উন্নয়নে কোনও কাজ করেননি। এখন ভোটের আগে তিনি ভাষণ দিচ্ছেন। এলাকার উন্নয়নে কাজ করছে রাজ্য সরকার। এই সেতু সংস্কারের প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে। ভোটের পরে কাজ শুরু হবে।