পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
২০২২ সালের পুরভোটে আলিপুরদুয়ার পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল ১৭টি ও নির্দল প্রার্থীরা তিনটিতে জয়ী হন। নির্দল প্রার্থী হিসেবে ২ নম্বর ওয়ার্ডে শ্রীলা দত্ত, ৬ নম্বরে গার্গী তালুকদার ও ১০ নম্বরে ঝুমা মিত্র জয়ী হন। পুরসভা ভোটের পর তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য ঘোষণা করে, তিন নির্দল প্রার্থীকে দলে নেওয়া হবে না। যার জন্য গত দু’বছর ধরে তিন নির্দল প্রার্থীকে দলে আর নেওয়া হয়নি।
দলে না ফেরালেও ঝুমা মিত্র ও গার্গী তালুকদার লোকসভা ভোটে তৃণমূলকেই সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। ঝুমাদেবী বলেন, আমি আমার ওয়ার্ডের ভোটারদের সঙ্গে বৈঠক করে লোকসভা ভোটে তৃণমূলকে সমর্থনের কথা জানিয়ে দিয়েছি। ঝুমাদেবীর স্বামী স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক পুলক মিত্রও একই কথা বলেন। গার্গীদেবীর হয়ে তাঁর স্বামী প্রাক্তন কাউন্সিলার গৌতম তালুকদার বলেন, ওয়ার্ডের মানুষকে আমরা লোকসভা ভোটে তৃণমূলকেই সমর্থন করার কথা জানিয়ে দিয়েছি। গত রবিবার দীর্ঘ অসুস্থতার পর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান আশিস দত্ত মারা যান। আশিসবাবুর মেয়ে ২ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলার শ্রীলা দত্ত বলেন, সদ্য আমার বাবা মারা গিয়েছেন। মানসিক বিপর্যস্ত অবস্থায় আছি। ফলে আমার পক্ষে এই মুহূর্তে কিছু বলা সম্ভব নয়। তাই আমার ওয়ার্ডের ভোটাররা কে কাকে ভোট দেবেন, সেই সিদ্ধান্ত তাঁদের উপরই ছেড়ে দিয়েছি।
যদিও লোকসভা ভোটে দুই নির্দলের সমর্থন নিয়ে তৃণমূলের টাউন ব্লক সভাপতি তথা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও বর্তমানে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় কোনও মন্তব্য করতে চাননি। পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ করও দুই নির্দল কাউন্সিলারের সমর্থন নিয়ে কিছু বলতে চাননি।
তবে তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর মজুমদার বলেন, লোকসভা ভোটে দুই নির্দল প্রার্থীর সমর্থনকে স্বাগত। আমরা নির্দল প্রার্থীদের কার্যকলাপের উপর নজর রাখছি।