বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিন শহরে বিজেপির মিছিলের জন্য পুলিসের অনুমতি ছিল না। সেই জন্য শহরের ফ্লাইওভার থেকে বক্সা ফিডার রোড ধরে বিজেপির কয়েকশো কর্মী সমর্থকের মিছিলটি এগতেই কোর্টমোড়ে আটকে দেয় পুলিস। মিছিল আটকে দেওয়ায় বিজেপির কর্মীরা ব্যস্ত রাস্তার মধ্যেই বসে পড়েন। এনিয়ে সেখানে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দেয়। মিছিলের জন্য একমুখী বক্সা ফিডার রোডের অন্য লেনে প্রচণ্ড যানজট সৃষ্টি হয়। যানজট সামাল দিতে পুলিস কিছু যানবাহনকে কোর্টমোড় থেকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়। কিন্তু মিছিলের দাবিতে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা অনড় থাকলে পুলিস তাদের গ্রেপ্তার করে।
দলের জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা, দুই সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত রায় ও নারায়ণ মন্ডল সহ পুলিস ১৩৩ জন বিজেপি কর্মী সমর্থককে গ্রেপ্তার করে। পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি বলেন, বিনা অনুমতিতে মিছিল করার জন্য আমরা এদিন ১৩৩ জন বিজেপি কর্মী সমর্থককে গ্রেপ্তার করি। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ওই মিছিলে বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদবাবু বলেন, শাসক দল তৃণমূলের কাউন্সিলার, নেতাদের মদতে জলাভূমিগুলি দখল হয়ে হচ্ছে। সেখানে বাড়িঘর, দোকানপাট এমনকী বহুতল করা হচ্ছে। এর ফলে শহরের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। জলাভূমি ভরাটের কারণে অগ্নিকাণ্ডের সময় দমকল বিভাগকেও আগুন নেভানোর সময় জলের অভাবে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। আমরা জলাভূমি দখলের বিরুদ্ধে শীঘ্রই শহরজুড়ে আন্দোলনে নামব। পুরসভা অফিস ঘেরাও করা হবে। পুরসভার প্রশাসকের কাছে ডেপুটেশন দেব।
তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার পুরসভার বিদায়ী বোর্ডের কাউন্সিলার দলের টাউন ব্লক সভাপতি দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূলের কোন কোন নেতা বা কাউন্সিলারের মদতে জলাভূমি ভরাট হচ্ছে তার তালিকা বিজেপি পুরসভার প্রশাসক বা প্রশাসনকে দিক। প্রশাসন তদন্ত করলেই সেটা পরিষ্কার হবে। বিজেপি আসলে পুরভোটকে সামনে রেখে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ফাঁকা আওয়াজ তুলে সস্তা রাজনীতি করতে চাইছে।