বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
ভোট পরিচালনা করতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূল। আজ সকাল থেকেই তাদের দলের নেতা-নেত্রীরা ভোটের ময়দানে নামবেন। বিভিন্ন বুথ তাঁরা চষে বেড়াবেন। সমতলের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে চারটি ওয়াররুম গড়েছে তারা। যারমধ্যে দলের জেলা পার্টি অফিস বিধানভবনে আছে একটি। সেখানে দলের চেয়ারম্যান (সমতল) অলোক চক্রবর্তী, জেলা মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত, শিলিগুড়ি পুরসভার ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার সহ আরও কয়েকজন থাকবেন। তাঁরা ফোনে বিভিন্ন বুথ থেকে অভিযোগ সংগ্রহ করবেন। তা দ্রুত নির্বাচন কমিশনের কাছে জানাবেন।
এছাড়াও সূর্যনগর, মাটিগাড়া ও বিধাননগরে তিনটি ওয়াররুম করা হয়েছে। সূর্যনগরের ওয়াররুমে থাকবেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেবের টিম। তিনি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তিনি শহরের বিভিন্ন বুথেও চষেও বেড়াবেন। প্রথমদফার ভোটের মতো আজ ভোটের গতিবিধি নিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রিপোর্ট পাঠাবেন বলেও খবর। দলের দার্জিলিং জেলা সভানেত্রী (সমতল) পাপিয়া ঘোষ বলেন, টানা ৪৪ দিন ধরে প্রচার চালিয়েছি। ৫০৩টি সভা, ১০০টি সাংগঠনিক সভা করেছি। হেঁটে ৫৭ হাজার বাড়িতে গিয়েছি। ৩৫টি চা বাগানে ভোট প্রচার করেছি। এর বাইরে ৩২০টি মিছিল, ৪৪টি হাট ও বাজার পরিক্রমা, ৯০টি ধর্মীয়স্থান পরিদর্শন সহ প্রায় দু’হাজার কিমি হেঁটেছি। এতে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। তা সত্ত্বেও ভোটের ময়দান পরিচালনার জন্য প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে খোলা হয়েছে ওয়াররুম। সেগুলিতে ইন্টারনেট ও কম্পিউটারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভোটারদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা, বুথ জ্যাম ও ভোটারদের চমকানোর অভিযোগ সবকিছু তদারকি করা হবে।
অন্যদিকে, বিজেপিও খুলেছে ওয়াররুম। মাটিগাড়ায় বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তার ভাড়া বাড়িতে এবং মাল্লাগুড়িতে পার্টি অফিসে দু’টি ওয়াররুম খোলা হয়েছে। দলীয় সূত্রের খবর, প্রতিটি কেন্দ্রে পাঁচ থেকে সাতজনের টিম থাকবে। টিমের সদস্যরা প্রতিটি বুথের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। সেখানেই নির্বাচন কমিশনের জেলা, রাজ্য ও দিল্লির অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হবে। মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিজেপি বিধায়ক আনন্দময় বর্মন বলেন, নির্বাচন পরিচালনার জন্যই ওই কেন্দ্রগুলি খোলা হয়েছে। এছাড়া কংগ্রেস ও সিপিএম বানিয়েছে দু’টি ওয়াররুম। একটি কংগ্রেস, অপরটি সিপিএম পার্টি অফিসে খোলা হয়েছে।