বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
প্রার্থীদের নির্বাচনী ময়দানে নামার সময় থেকেই পাহাড়ের পরিবর্তে এবার রাজনৈতিক দলগুলির টার্গেট ছিল সমতলের ভোটব্যঙ্ক ধরে রাখা। নির্বাচনের দিনও সমতলকেই তাই পাখির চোখ করেছে প্রধান তিন রাজনৈতিক দল ও দলের প্রার্থীরা। তিন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব প্রার্থী ও দলের নেতাদের আগেই নির্দেশ দিয়ে রেখেছে ভোটের দিন সমতলের মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে। আজ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী গোপাল লামা, বিজেপির রাজু বিস্তা এবং কংগ্রেস প্রার্থী মুণীশ তামাং সমতলের বুথে বুথে ঘুরবেন, দলের ওয়াররুমে থাকবেন। যার চূড়ান্ত প্রস্তুতিও তাঁরা নিয়ে ফেলেছেন। অন্যদিকে, পাহাড়ের দায়িত্বে থাকবেন যুযুধান তিন রাজনৈতিক দলের পাহাড়ের সহযোগী দলের রথী-মহারথীরা। পাহাড়ে থাকবেন তৃণমূলের অন্যতম সহযোগী ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা বা বিজিপিএম সভাপতি তথা জিটিএর চিফ এগজিকিউটিভ অনীত থাপা। গত পুরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটের ফলের অঙ্কে এখন পাহাড়ের ব্যাটন অনীতের হাতে। তাই অনীতের একার কাঁধে গোটা দার্জিলিং পাহাড় সঁপে দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। অন্যদিকে, ১৫ বছর ধরে দার্জিলিং লোকসভা আসন ধরে রাখা পদ্ম শিবিরের পক্ষে দায়িত্ব সামলাবেন একদা পাহাড়ের ‘বাদশা’ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং এবং জিএনএলএফ সভাপতি মন ঘিসিং সহ অন্য সহযোগী দলগুলি। যদিও ২০১৯ সালে বিমলের হাতে থাকা পাহাড়ের রাশ এখন হাতছাড়া। পাহাড়ে জিএনএলএফের ক্ষমতাও প্রায় তলানিতে। বাকি সহযোগী দলগুলির অস্তিত্ব কার্যত সঙ্কটে।
কংগ্রেস প্রার্থী মুণীশ তামাং তৃণমূল প্রার্থী গোপাল লামা ও বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তার মতো গোটা দিন সমতল শিলিগুড়িতে সময় দেবেন। কংগ্রেসের হয়ে পাহাড়ের ভোট পরিচালনা করবেন অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি ও পাহাড়ের সিপিএম নেতৃত্ব।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দার্জিলিং জেলার সমতলের তিন বিধানসভার দখল নেয় বিজেপি। অন্যদিকে, পুরসভা ও মহকুমা পরিষদের নির্বাচনে দুই-ই দখল নেয় তৃণমূল। এদিকে পাহাড়ের আঞ্চলিক দলগুলি মূলস্রোতের রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গ নেওয়ায় পাহাড়ের ভোট ভাগাভাগির হওয়া ইঙ্গিত পেয়ে গিয়েছেন হেভিওয়েট তিন প্রার্থী। তবে পাহাড়ে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি গেরুয়ার ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসানোর পাশাপাশি বিজেপির গলার কাঁটা দলেরই কার্শিয়াংয়ের বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। এতদিন পাহাড়ের ভোটে বিজেপির একছত্র আধিপত্য থাকলেও এবার ভোট ভাগাভাগির নিরিখে তা বিজেপির বিপক্ষে যাওয়ার আভাস রয়েছে। সেকারণেই এবার পাহাড় ছেড়ে সমতলের তিন বিধানসভা মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া ও শিলিগুড়িকে টার্গেট করেছে রাজনৈতিক দলগুলি।