বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বিজেপি’র মণ্ডল কমিটিগুলির মেয়াদ তিন বছরের। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন কমিটি তৈরির আগে মণ্ডল কমিটির সভাপতিদের নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে জেলায়। মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন পরিচালনার কাজের দায়িত্বে আছেন দলের জেলা রিটার্নিং অফিসার অজিত দাস ও সহকারি জেলা রিটার্নিং অফিসার নারায়ণ মণ্ডল।
গত ৭ তারিখ থেকে বিজেপি’র মণ্ডল কমিটির সভাপতি নির্বাচনের কাজ শুরু হয়েছে। জেলায় দলের ২১টি মণ্ডলের মধ্যে ইতিমধ্যেই পাঁচটি মণ্ডলের সভাপতিদের বেছে নেওয়া হয়েছে।
অযোধ্যা রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে মাঝে অবশ্য দলের এই মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে মঙ্গলবার থেকে ফের মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনের কাজ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ১০টি মণ্ডলের সভাপতিদের বেছে নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু মণ্ডল সভাপতিদের নির্বাচন পদ্ধতি নিয়েই দলের জেলা কমিটির একাধিক সদস্য ক্ষুব্ধ। জেলা কমিটির একাংশের অভিযোগ, সংগঠনে প্রতিযোগিতা, রেষারেষি ও দলাদলি এড়াতে দলের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব সর্বসম্মতভাবে দলের মণ্ডল সভাপতি বেছে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, দলের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মোতাবেক মণ্ডল সভাপতিদের নির্বাচন হচ্ছে না। বুথ বা মণ্ডল কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা না করে বা মতামত না নিয়ে জেলা থেকে মণ্ডল সভাপতিদের নির্বাচন করে জোর করে মাথায় বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
দলের জেলা কমিটির সদস্য অলকেশ দেবনাথ বলেন, কেন্দ্রীয় বা রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মোতাবেক দলের মণ্ডল কমিটির সভাপতি নির্বাচন হচ্ছে না বলেই মনে করছি। কাজের লোকের বদলে জেলা নেতৃত্ব তাদের কাছের লোককে মণ্ডল সভাপতি হিসাবে বেছে নিচ্ছে। এনিয়ে দলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়াচ্ছে।
দলের জেলা কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য হেমন্ত রায় বলেন, সংগঠনে পদ নিয়ে নেতাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা, দলীয় নেতৃত্বের মধ্যে দলাদলি ও রেষারেষি এড়াতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব সর্বসম্মতভাবে মণ্ডল সভাপতিদের বেছে নিতে বলেছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বুথ বা মণ্ডল কমিটির সদস্যদের মতামত না নিয়ে ও আলোচনা না করে জেলা থেকে মণ্ডল সভাপতিদের চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে দলেরই ক্ষতি হবে।
আগামী বিধানসভার ভোটকে সামনে রেখে গেরুয়া শিবির জেলায় মেয়াদ উত্তীর্ণ মণ্ডল কমিটিগুলির সভাপতিদের বেছে নেওয়ার কাজ দ্রুত শেষ করতে চাইছে। মণ্ডল কমিটির সভাপতি নির্বাচনকে ঘিরে দলে যাতে কোনও ক্ষোভ তৈরি না হয় তাও দেখা হচ্ছে। কিন্তু তারপরেও মণ্ডল সভাপতিদের নির্বাচন নিয়ে দলে ক্ষোভ শুরু হয়েছে।
দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি গুণধর দাস অবশ্য কোনরকম রাখঢাক না করে বলেন, দলের মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে যাঁরা দলের ক্ষতি করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে দল কড়া ব্যবস্থা নেবে। দলের জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, বুথ ও মণ্ডল কমিটির নেতৃত্বদের মতামত নিয়ে ও আলোচনা করেই মণ্ডলের সভাপতিদের বেছে নেওয়া হচ্ছে। কোনওভাবেই জেলা থেকে মণ্ডল সভাপতিদের চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে না।