বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
উদ্যান পালন দপ্তরের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা আধিকারিক সমরেন্দ্র খাঁড়া বলেন, গুজরাত, নাসিক থেকে আমাদের জেলায় রসুন আমদানি হয়। ওই এলাকাগুলিতে বন্যা হওয়ার কারণে চাষআবাদে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যার কারণে দাম ক্রমশ বেড়ে চলছে। নতুন করে ফসল না ওঠা পর্যন্ত দাম কমার কোনও সম্ভবনা নেই। যদিও আমরা জেলায় রসুনের চাষ করার উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী দিনে জেলার চাহিদা যাতে মেটানো সম্ভব হয় সেই দিকেই নজর রাখছি আমরা।
জেলার খোলা বাজারে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম বেড়েই ক্রমশ বেড়েই চলছে। বর্তমান বাজারে পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৬০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রসুনের দাম ২০০-২৩০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করছে। এই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে বাজার করতে গিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছেন জেলার বাসিন্দারা। উপায় না ভেবে অনেকে গোটা রসুন কেনার বদলে রসুনের পেস্ট বাজার থেকে কিনে নিচ্ছেন। বাজারে রসুনের পেস্টের চাহিদাও বেড়েছে।
ভিন রাজ্যে এবছর বন্যার কারণে চাষ আবাদে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে সেই এলাকাতে যে পরিমাণ পেঁয়াজ ও রসুন উৎপাদিত হয়েছে তা দিয়ে এই রাজ্যের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। অন্য দিকে ভিন রাজ্যে রসুন, পেঁয়াজের দাম সেভাবে না না বাড়লেও গুজরাত, নাসিক, রাজস্থান থেকে রসুন জেলায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে পরিবহণ খরচ প্রচুর বেড়েছে। যার কারণে দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বাড়তি খরচ ধরেই বাজারে রসুনের দাম ঠিক করছেন। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ভিন রাজ্যগুলিতে নতুন ফসল না ওঠা পর্যন্ত রসুনের দাম কমার কোনও সম্ভবনা থাকছে না। ফলে এই মাসে দাম কমবে কি না তা নিয়েও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। বাজারে গিয়ে রসুনের দাম শুনে মধ্যবিত্ত পরিবারের মাথায় হাত পড়ছে।