বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এবিষয়ে রায়গঞ্জের বিডিও রাজু লামা বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর বেশি বলার এক্তিয়ার আমার নেই। এবিষয়ে কথা বলার জন্য উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনাকে টেলিফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
বিন্দোল নাগরিক কমিটির তরফে মোস্তাক আলি প্রধান বলেন, আমরা এই পদক্ষেপে খুশি নই।আমাদের সমস্ত অভিযোগের তদন্ত করে যতদিন কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না আমরা আন্দোলন জারি রাখব। শুধুমাত্র টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিলেই হবে না। প্রধানকে গ্রেপ্তার করতে হবেই। বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দাম বলেন, আমরা বুঝতে পারছি না কেন শুধুমাত্র টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল? এফআইআর কেন করা হল না? এদিনয়ে আমরা আন্দোলনে নামছি। জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ বলেন, ওই পঞ্চায়েত সহ জেলার একাধিক পঞ্চায়েতে দুর্নীতি হচ্ছে। সব জেনেও প্রশাসন চুপ করে আছে। আমরা জেলাশাসকের দপ্তর ঘেরাও করব। ওই পঞ্চায়েতে শুধুমাত্র ১০০ দিনের কাজ নয়, চতুর্দশ অর্থ কমিশনের টাকার অনিয়ম নিয়েও পদক্ষেপ করতে হবে। তবে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি কবিতা বর্মন বলেন, প্রশাসনের পদক্ষেপে আমরা খুশি। জেলা তৃণমূলের কার্যকারী সভাপতি পূর্ণেন্দু দে বলেন, অপরাধ কেউ করে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হওয়াই উচিৎ। তা যে দলেরই হোক না কেন। সরকারি অর্থের তছরুপের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতেই হবে। আপাতত প্রধানকে টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও হতে পারে।
বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লায়লা খাতুনের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজ ও চর্তুদশ অর্থ কমিশনের টাকা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, ওই দুই খাতে প্রায় দুই কোটি টাকার অনিয়ম হয়েছে। এনিয়ে গ্রামবাসীদের লাগাতার আন্দোলন চলছে। সম্প্রতি তারা এনিয়ে শিলিগুড়ি মোড়ে অবরোধ করেন। এরপরই সোমবার (২২ জুলাই) প্রশাসনের তরফে নির্দেশিকা জারি করে ১০০ দিনের কাজে ৬ লক্ষ ৮৮ হাজার ৩৬৪ টাকা সাতদিনের মধ্যে ফেরত দিতে প্রধানকে নির্দেশ দেন বিডিও। সাতদিনের মধ্যে টাকা ফেরত না দিলে প্রধানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে চতুর্দশ অর্থ কমিশনের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ নিয়ে প্রশাসন এখনও কোনও পদক্ষেপ না করার নানা প্রশ্ন উঠছে। সরকারি কর্মচারী মহল থেকে ব্যবসায়ী অনেকেই বলছেন, প্রায় দুই কোটি টাকা তছরুপের মধ্যে মাত্র সাড়ে ছয় লক্ষ টাকার মতো সামান্য টাকা ফেরত চেয়ে প্রশাসন আদতে অভিযুক্তকে ছাড়ই দিয়ে দিয়েছে।