বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
যদিও জেলা প্রশাসন তরফে জানান হয়েছে, গণনাকে কেন্দ্র করে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। প্রথম বলয়ে স্থানীয় পুলিস তারপরে রাজ্যপুলিস তারপরে মূলকেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হয়েছে। থাকবে সিসিটিভি নজরদারি। মেটাল ডিটেক্টার দিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা যেমন থাকবে, তেমনি কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ানো হচ্ছে। গণনাকে কেন্দ্র করে ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হচ্ছে। কারচুপির কোনও অবকাশই নেই। তবে গণনাকে কেন্দ্র করে রথবাড়ি থেকে ফোয়ারা পর্যন্ত রাস্তা আজ, বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকবে। ফলে আমজনতার ভোগান্তির সম্ভাবনা আছে। একইভাবে মালদহ মানিকচক রাজ্য সড়কেও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। দক্ষিণ মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের গণনা মালদহ পলিটেকনিক কলেজে হবে যা মালদহ-মানিকচক রাজ্য সড়কের ধারে। উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্র ও হবিবপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের গণনা যথাক্রমে মালদহ কলেজ ও মালদহ জেলা স্কুলে হবে, যা রথবাড়ি থেকে ফোয়ারা মোড় পর্যন্ত মুখ্য সড়কের ধারে অবস্থিত।
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দুলাল সরকার (বাবলা) বলেন, বিজেপি’র ছলের অভাব নেই। নানাভাবেও ওরা নির্বাচনী ফলকে প্রভাবিত করা এবং স্বপক্ষে আনার চেষ্টা করছে। গণনা কেন্দ্রে গণ্ডগোল বাঁধিয়ে গণনা ভণ্ডুল করা থেকে আমাদের এজেন্টদের অন্যমনস্ক করে দিয়ে ফল বদলে দিতে পারে। সেই কারণে, আমরা দলীয় এজেন্টদের সতর্ক করেছি। বিজেপি’র জেলা প্রবক্তা অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, গণনা ভণ্ডুল করা তৃণমূলের বাঁধা ছক। কারচুপি করে গণনা পাল্টাতেও ওরা সিদ্ধহস্ত। সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা এসব অনেক দেখেছি। দলীয় এজেন্টদের তাই আমরা এসব তৃণমূলী চক্রান্ত নিয়ে সতর্ক করেছি। জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম বলেন, বিজেপি এবং তৃণমূল উভয়েই নিজেদের স্বপক্ষে ফলাফল আনার জন্যে যাবতীয় পদক্ষেপ করতে পারে। এনিয়ে আমাদের উদ্বেগ আছে। আমাদের কর্মীদের আমরা সতর্কতা ও দায়বদ্ধতার সঙ্গে চোখকান খোলা রেখে কাজ করতে বলেছি। প্রশাসনের তথাকথিত সতর্কতার পরেও তো ভোটের সময় হাঙ্গামা হয়েছে, কখনও ইভিএম বের করার চক্রান্ত করা হয়েছে। ফলে আমাদের উদ্বেগ থাকছেই। সিপিএম জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, ছলে, বলে কৌশলে জেতার চেষ্টা করা এখন একটি ধারা হয়ে গিয়েছে। কারণ, রাজনৈতিক দলগুলি মানুষের রায়ে ভরসা রাখে না। তাই আমাদের সতর্ক থাকতেই হবে। যদিও জেলার অতিরিক্ত নির্বাচনী আধিকারিক পালদেন শেরপা বলেন, আমাদের কোনও আশঙ্কা নেই। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে যাবতীয় সুরক্ষাপ্রণালী প্রয়োগ করা হয়েছে। একাধিক নিরাপত্তা বলয় রাখা হচ্ছে। মোবাইলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। সমস্ত গণনা প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হবে।
গণনার ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে গণনায় কারচুপি, গণনা ভণ্ডুল করা হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এদিন প্রথম তৃণমূলের অন্দরমহল থেকে ওই উদ্বেগ প্রকাশ্যে আসে। দলীয় এজেন্টদের একাধিক দফা নির্দেশিকা জারি করা দলের নেতৃত্ব। সেখানে এই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়, বিজেপি’র তরফে কৌশলে লোক ঢুকিয়ে গণ্ডগোল পাকানো হতে পারে। সেই অস্থিরতার সুযোগে বদলে দেওয়া হতে পারে ফলাফল। একইভাবে গণনার কাজে থাকা সরকারি কর্মীদের প্রভাবিত করা হতে পারেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এরপরই গণনা ভণ্ডুলের চেষ্টা নিয়ে যুযুধান সমস্ত দলগুলির মধ্যেই চাপা টেনশন ছড়িয়ে পড়ে। যদিও প্রশাসন গণনা নিয়ে যে কোনও ধরনের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে।