বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিন ইসলামপুরে তিনি বলেন, এই জেলার মাটি কংগ্রেসের মাটি, প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির মাটি। তাঁর আশীর্বাদ এই জেলার মানুষের প্রতি আছে। জেলার জন্য তাঁর অবদান অনেক। তাঁর অবর্তমানে এবার আমাদের প্রথম লোকসভা নির্বাচন করতে হচ্ছে। জেলার মানুষ তাঁর নামেই কংগ্রেসকে ভোট দেবেন। এই জেলায় তাঁর এইমস গড়ার স্বপ্নকে কারা বাস্তবায়িত করতে দিল না তার জবাব মানুষ নেবে না? জেলার রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, পানীয় জল, স্কুল ভবনের উন্নতি— জেলার জন্য কী করেননি তিনি? তাঁর নামেই আমরা জেলায় ভোট করব।
এদিন তিনি বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে ইসলামপুরে ঢুকতেই দলের কর্মী-সমর্থকেরা উল্লাসে মাতোয়ারা হয়ে পড়েন। তিস্তাপল্লি এলাকা থেকে তাঁর গাড়ির সামনে কর্মীরা বাইক মিছিল করে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে টার্মিনাসে পৌঁছয়। হুড খোলা গাড়ি থেকে দীপাদেবী ভোটারদের উদ্দেশে হাত নাড়তে থাকেন। রাস্তার দু’ধারে মানুষ জড়ো হয়ে যায়। থেমে পড়ে পথচলতি মানুষ। অনেক নতুন ভোটার এগিয়ে এসে তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এভাবেই পথ চলতে চলতে টার্মিনাসে এসে যান। সেখানে পৌর আবাসের ঘরে ইসলামপুর ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চলের কংগ্রেস সভাপতিদের নিয়ে তিনি বৈঠক করেন। সেখানে ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি মুজাফ্ফর হোসেন, ইসলামপুর টাউন মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি রীনা দাসপাল, জেলা কংগ্রেসের অন্যতম সদস্য পবিত্র চন্দ সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, উত্তর দিনাজপুর আমাদের শক্তমাটি। এই কারণেই এখানে প্রার্থী ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত এখানকার কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা মুষড়ে ছিলেন। এবার প্রার্থী ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। সবাই চাইছে লড়াইটা জোরদার করতে হবে। এবারে অনেক ভোটে কংগ্রেস জয়ী হবে।
এদিকে রাজনৈতিক মহলের আলোচনা, গত নির্বাচনের পরে কংগ্রেসের অনেক সদস্য দলবদল করে এখন তৃণমূল শিবিরে চলে গিয়েছেন। ইসলামপুরে কানাইয়ালাল আগরওয়াল দলবদল করেছেন। দীর্ঘদিনের কংগ্রেস যোদ্ধা এখন তৃণমূলের সৈনিক। কানাইয়াই এখানে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন। এখন কংগ্রেসের শক্তি আর আগের মতো নেই। এসব প্রসঙ্গ দীপার সামনে তোলা হলে তিনি বলেন, কিছু নেতা দলবদল করেছেন। যাদের জন্য আমরা লড়াই করেছি। যাদের জন্য আমরা এক সময় পথে নেমেছিলাম। তাদের কেউ কেউ মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। এটা সত্য। তাঁরা এখন বিশ্বসাঘাতক আখ্যায় ভূষিত হয়েছেন। যাঁরা মনে করছেন টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যাবেন তারা একটা কথা মনে রাখবেন উত্তর দিনাজপুরের মানুষকে টাকা দিয়ে কেনা যাবে না।
গত বিধানসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলায় বিজেপির ভোটবৃদ্ধি হয়েছে। তাদের এই বৃদ্ধি কি কংগ্রেসের কাছে চ্যালেঞ্জ? এই প্রশ্ন রাখলে তিনি বলেন, অবশ্যই চ্যালেঞ্জ। নির্বাচনী লড়াইয়ে কাউকে আমি দুর্বল বা ছোট মনে করি না। কারও শক্তি বেড়েছে কারও কমেছে। এটাইতো ভোটের পরীক্ষা! তবে জাতীয় ক্ষেত্রে বিজেপির বিরুদ্ধে সারা দেশের মানুষ সোচ্চার হয়েছে। তারা বিকল্প চাইছে। কংগ্রেসই সেই বিকল্প।
রায়গঞ্জে ঢোকার আগে টেলিফোনে তিনি বলেন, কংগ্রেস তো শুধু ভোট নয় এটা একটা আবেগ। জেলার মানুষের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক অনেক পুরনো। এখানে পঞ্চায়েত ভোট, পুরভোট কীভাবে হয়েছে সকলেই দেখেছেন। এর বদলা নিতে মানুষ মুখিয়ে আছেন।