বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
দিনহাটা থানার আইসি সঞ্জয় দত্ত বলেন, নিষিদ্ধপল্লিতে বসে অভিযুক্তরা এই ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিল। ডাকাতি করার সময়ের সূত্র ধরেই কেসের কিনারা করা হয়েছে। পুলিস সুপার অভিষেক গুপ্তা বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ডাকাতির কিনারা করা হয়েছে। ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
১৫ জানুয়ারি ওকড়াবাড়িতে মিঠুন সোনারের দোকানে ডাকাতি হয়। ওইদিন গভীর রাতে একদল দুষ্কৃতী মিঠুনবাবুর বাড়িতে গিয়ে চড়াও হয়। বাড়িতে কিছু না পেয়ে তাঁকে মুখ বেঁধে মারধর করে দোকানের চাবি নিয়ে ১ কিলোমিটার দূরের বাজারে গিয়ে দোকানে ডাকাতি করে। মারধরে গুরুতর জখম মিঠুনবাবু দীর্ঘদিন দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে দিনহাটার স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা পথেও নেমেছিলেন। পুলিস সুপার নিজেই দায়িত্ব নিয়ে দিনহাটা থানার আইসি সঞ্জয় দত্তের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল গঠন করেন। সেই দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। তদন্তে পুলিস জানতে পারে পেশায় খালাসি পাপন রায় ও মদের কারবারি সুভাস রায়ের নেতৃত্বে কয়েক জন যুবক এই ডাকাতির ছক কষে। মিঠুনবাবুর দোকানে বিয়ের গয়না বানানোর অর্ডারের অগ্রিম খবর তাদের কাছে ছিল। ১৫ জানুয়ারি তারা হেঁটে মিঠুনবাবুর বাড়িতে যায়। কিন্তু বাড়িতে গয়না না পেয়ে তাঁকে বেধড়ক পেটায়। এরপর চাবি নিয়ে বাজারে গিয়ে গয়না ও নগদ টাকা লুট করে। এরপর ছোট বোয়ালমারিতে পাপনের বাড়িতে গিয়ে লুটের মালপত্র ভাগ বাটোয়ারা করে। মঙ্গলবার রাতে সুভাষের আমবাড়ি পাখিহাগা এলাকায় মদের ঠেক থেকে সাদা পোশাকে থাকা পুলিস তাকে প্রেপ্তার করে। ওই রাতেই পাপনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় আর কারা জড়িত তা পুলিস দেখছে।