বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
জেলার পুলিস সুপার সুমিত কুমার বলেন, জেলার চারটি থানা এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত অনেক আগেই হয়েছিল। তার মধ্যে দু’টি থানা এলাকায় এই কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। বাকি দু’টি থানায় এক মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।
উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ শহর ও ব্লকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ও ব্যস্ত মোড়গুলিতে প্রায় ১৫০ সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। যার অধিকাংশই লাগানো হয়ে গিয়েছে। একইভাবে ইটাহারেও এই কাজ চলছে। জেলার ইটাহার থেকে চোপড়া পর্যন্ত মোট ১৮৭ কিমি জাতীয় সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে ইটাহার থেকে ডালখোলা ছাড়িয়ে পূর্ণিয়া মোড় পর্যন্ত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কটি গিয়েছে। পূর্ণিয়া মোড় থেকে চোপড়া ব্লকের সীমান্ত পর্যন্ত ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক রয়েছে। ইটাহার থেকে কোনও গাড়ি জেলায় ঢুকলে তার পরের ব্লক হিসেবে রায়গঞ্জের ওপর দিয়ে যেতে হয়। আবার চোপড়া দিয়ে কোনও যানবাহন জেলায় প্রবেশ করলে চোপড়া হয়ে সেটি ইসলামপুর ব্লকে প্রবেশ করে। এই চারটি ব্লকে অনেক আগেই পুলিস বিভাগ সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
জেলার ওপর দিয়ে চলে যাওয়া এই জাতীয় সড়কে যানজট, দুর্ঘটনা প্রভৃতি লেগেই থাকে। পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন রাস্তায় ট্রাফিক আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গাড়ি ও মোটর বাইক চালানোর মতো ঘটনা আকছাড় ঘটছে। এছাড়াও ইটাহার, রায়গঞ্জ ও ওদিকে ইসলামপুর এবং চোপড়ায় মাঝেমধ্যেই দুষ্কৃতী কার্যকলাপ, চুরি, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটে। অনেক সময়ে দুষ্কৃতীরা বাইরে থেকে এসে বিভিন্ন জায়গায় অপারেশন চালিয়ে চম্পট দেয়। জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় রয়েছে বিহার ও বাংলাদেশের সীমান্ত। তাই সব দিকে নজর রেখেই বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
এখন ক্যামেরাগুলি লাগানোর কাজ চলছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যস্ত মোড়, ক্রসিংগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কারণ এই সব জায়গা দিয়েই অধিক মানুষের চলাচল হয়। সঠিক নজরদারি চালাতে পারলে দুষ্কৃতীদের গতিবিধির ওপরে নজর রাখা অনেক সহজ হবে। আবার ওই সব জায়গা দিয়ে অধিকাংশ যানবাহন চলাচল করে। সেই কারণে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করলে তা পুলিসের নজরে খুব সহজেই চলে আসবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে রায়গঞ্জ থানার উদ্যোগে শহরের প্রধান রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। সেই ক্যামেরাগুলি মাঝেমধ্যেই খারাপ থাকে বলে অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে রায়গঞ্জের মোহনবাটি বাজারে কিছু সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এরপর জেলা পুলিসের উদ্যোগে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কাজ শেষ হলে শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা সিসিটিভির নজরদারিতে চলে আসবে।