বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
আজ, উৎসবের সূচনার আগেই রবিবার দুপুরে উৎসব অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চের চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ খতিয়ে দেখেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ির পুলিস কমিশনার ভরত লাল মিনা। অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চ পরিদর্শনের পাশাপাশি এদিন পুলিস প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী। অন্যদিকে, নিরাপত্তার বিষয় সুনিশ্চিত করতে মূল মঞ্চ ও আশেপাশের এলাকা জুড়ে প্রশিক্ষিত কুকুর সহ মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে জোর তল্লাশি চালানো হয়। গৌতমবাবু বলেন, সোমবার দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ উত্তরবঙ্গ উৎসবের সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও তাঁর নির্দেশ মেনেই সোমবার বেলা ১টা থেকে শুরু হবে উত্তরবঙ্গ উৎসবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যেখানে লোকশিল্পী, বাউল সঙ্গীতশিল্পী সহ খুদে নৃত্যশিল্পীরা অংশ নেবেন। গৌতমবাবু বলেন, উৎসবের মঞ্চ থেকে উত্তরের নয় জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে বঙ্গরত্ন সম্মানে সম্মানিত করবেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার মোট ১০০ জন দুঃস্থ পড়ুয়াকে আর্থিক সাহায্য করবেন তিনি।
এবারের অষ্টম উত্তরবঙ্গ উৎসব চলবে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এবার বঙ্গরত্ন সন্মান পেতে চলেছেন দার্জিলিঙের কেপি মাল্যা(সমাজকর্মী), শিলিগুড়ির পরিতোষ পাল (চিত্র শিল্পী), জলপাইগুড়ির স্বপ্না বর্মণ(অ্যাথলিট), অজিত বর্মন(সমাজকর্মী), মালদহের সৌমিত্র রায়(গায়ক), কোচবিহারের সুশান্ত গুহ (প্রবীণ সাংবাদিক), উত্তর দিনাজপুরের অমিত সরকার (শিক্ষাবিদ), দক্ষিণ দিনাজপুরের সুকুমার সরকার(ইতিহাসবিদ), আলিপুরদুয়ারের পরিমল রায়(লেখক)।
গৌতমবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে এদিন মূল মঞ্চের সামনে ১০০ জন মহিলা থাকবেন শঙ্খ হাতে। অন্যদিকে, সঙ্গীতের পাশাপাশি নৃত্য পরিবেশন করবেন ৫০০ নৃত্য শিল্পী। প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রথম ধাপেই মুখ্যমন্ত্রী প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গ উৎসবের সূচনা করবেন। এরপর বঙ্গরত্ন প্রদান ও দুঃস্থ মেধাবী পড়ুয়াদের আর্থিক সাহায্য বণ্টনের শেষে বক্তব্য রাখবেন তিনি। এরপরেই মমতা শিলিগুড়ি ছেড়ে রওনা দেবেন দার্জিলিংয়ের উদ্দেশে। সেখানে ২২ জানুয়ারি পাহাড়ের বিভিন্ন জনজাতি ও জিটিএ প্রশাসনিক কর্তাব্যাক্তিদের নিয়ে বৈঠক করতে পারেন তিনি। অন্যদিকে, পাহাড়ের দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গেও বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। পরের দিন ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালন করবেন। সেখান থেকেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার উন্নয়নে একগুচ্ছ প্রকল্পের ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।