আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
একইসঙ্গে সিংভি আদালতে জানান, ইডি এমনভাবে বলছে যে আম খেলেই সুগার বাড়ে। আদতে এতে চিনির মাত্রা ভাতের থেকেও কম। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, চায়ের সঙ্গে কেজরিওয়াল চিনির বদলে শুধু ‘সুগার ফ্রি’ ব্যবহার করছেন। ইডি ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে বলেও আদালতে দাবি করেছেন সিংভি। তিহার জেলে প্রতিদিন তাঁর চিকিত্সকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে কথা বলতে চেয়ে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে আবেদন করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। সেই আবেদনের বিরোধিতা করে বৃহস্পতিবার কেজরিওয়ালের আম-মিষ্টি খাওয়ার কথা বলেছিল ইডি। শুক্রবারও এই আবেদনের শুনানি চলে। আগামী সোমবার পর্যন্ত এই আবেদন নিয়ে রায়দান স্থগিত রেখেছে আদালত। এদিন আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে কেজরিওয়াল দাবি করেন, জেলে তাঁর জন্য নিয়মিত ইনসুলিনের ব্যবস্থা করা হোক। তাঁর বক্তব্য, ‘আমি জেলবন্দি বলে কি আমার মর্যাদাপূর্ণ জীবন বা চিকিত্সা পাওয়ার অধিকার নেই? আমি কি গ্যাংস্টার, যে আমাকে ১৫ মিনিটের জন্য ডাক্তারের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না?’
কেজরিওয়াল বলেন, ‘ইডির দাবি আমি জামিন পাওয়ার জন্য ব্লাড সুগার বাড়ানোর চেষ্টা করছি। আমি কি জামিন পাওয়ার জন্য পক্ষাঘাত হওয়ার ঝুঁকি নেব। আমি যা খাচ্ছি, তা গ্রেপ্তারির আগে ডাক্তারের তৈরি করে দেওয়া ডায়েট চার্ট মেনেই।’ তিনি আদালতকে জানান, ২০১২ সাল থেকে তিনি ইনসুলিন নিচ্ছেন কিন্তু গত ২৯ দিন এই প্রাণদায়ী ওষুধ পাচ্ছেন না। জেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ইনসুলিন নিতে দিচ্ছে না তাঁর বলেই সুগারের মাত্রা বাড়ছে। যদিও ইডি এই সব দাবির বিরোধিতা করে এদিনও দাবি করেছে, কেজরিওয়াল ডায়েট চার্ট মেনে খাচ্ছেন না। একইসঙ্গে তাদের দাবি, কেজরিওয়ালের চিকিত্সার জন্য জেলে পর্যাপ্ত চিকিত্সা ব্যবস্থা রয়েছে।