পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি।প্রতিকার: আজ দই খেয়ে শুভ ... বিশদ
হাফিজ সইদ ও তার তিন অনুচর হাফিজ মাসুদ, আমির হামজা ও মালিক জাফরকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে লাহোরের সন্ত্রাস বিরোধী আদালত (এটিসি)। প্রত্যেকের জন্য ৫০ হাজার টাকার সিওরিটি বন্ডে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। এই খবর জানিয়েছে ডন সংবাদপত্র। শুনানি চলাকালীন হাফিজ সইদের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, জামাত-উদ-দাওয়া বেআইনিভাবে কোনও জমি ব্যবহার করছে না। জামিনের আবেদন গ্রহণ করার আর্জি জানান তিনি।
জামাত-উদ-দাওয়াকে সামনে রেখে গোপনে লস্কর-ই-তোইবার কাজকর্ম চালায় হাফিজ সইদ। মুম্বই হামলায় জড়িত ছিল লস্কর। সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম থেকে নজর ঘোরাতেই জামাত-উদ-দাওয়ার বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। পাকিস্তানের সরকারি সূত্রে খবর, জামাতের এই নেটওয়ার্কের অধীনে রয়েছে ৩০০টি সেমিনারি ও স্কুল, হাসপাতাল, একটি প্রকাশনা সংস্থা ও অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা। মার্চে পুলিস জানিয়েছিল, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে জামাত ও তার দাতব্য প্রতিষ্ঠান ফালাহ-ই-ইনসানিয়াত ফাউন্ডেশনের (এফআইএফ) ১৬০টি সেমিনারি, ৩২টি স্কুল, ২টি কলেজ, ৪টি হাসপাতাল, ১৭৮টি অ্যাম্বুলেন্স ও ১৫৩টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ হাতে নেওয়া হয়েছে। ওই মাসেই সিন্ধ প্রদেশেও জামাত-উদ-দাওয়া ও এফআইএফ-এর অন্তত ৫৬টি সেমিনারি ও বিভিন্ন কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নেয় পুলিস। অভিযোগ, এইসব প্রতিষ্ঠানের নাম করে তোলা অর্থ ঘুরপথে ব্যবহার করা হয় সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে। সন্ত্রাসবাদী কাজে ব্যবহার হয় এই প্রতিষ্ঠানগুলির পরিকাঠামোও। হাফিজ সইদকে ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করেছে আমেরিকা। জামাত-উদ-দাওয়া প্রধানের বিরুদ্ধে তথ্য পেতে ১ কোটি ডলার পুরস্কারও ঘোষণা করে রেখেছে ওয়াশিংটন। প্রবল আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে পাকিস্তান সরকার জামাত-উদ-দাওয়া, লস্কর ও এফআইএফ-এর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। যদিও সেরকমই একটি মামলায় হাফিজ সইদ অন্তর্বর্তী জামিন পাওয়ায় পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদ দমনে কতটা আন্তরিক, ফের সেই প্রমাণ সামনে চলে এল। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত ও অর্থ তছরুপের অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লাহোর হাইকোর্টে আবেদন করেছিল সইদ ও তার সাত অনুচর। ওই আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্ট পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার, পাঞ্জাব প্রদেশের সরকার ও সন্ত্রাস দমন বিভাগকে নোটিস পাঠিয়েছে। দু’সপ্তাহের মধ্যে বক্তব্য পেশ করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।