ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
ভ্রুণের লিঙ্গ নির্ধারণ সংক্রান্ত আইনকে পক্ষপাতদুষ্ট, অদূরদর্শী ও এনজিও-চালিত বলেও কটাক্ষ করেছেন অশোকান। এই আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এই আইন চিকিত্সকদের সমস্যায় ফেলছে বলেও দাবি করেছেন আইএমএ-র সভাপতি। তাঁর মতে, ধরেই নেওয়া হয় যে সমস্ত চিকিত্সক দোষী ও ভ্রুণহত্যার জন্য দায়ী। এটা ঠিক নয়।
সংবাদ সংস্থার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন অশোকান। সেখানে তিনি বলেন, ‘ভ্রুণের লিঙ্গ নির্ধারণ রোধে বর্তমানে যে আইন আছে তা নিয়ে আইএমএ এখন কাজ করছে। তাঁর মধ্যে একটি হল কেন আমরা আগে থেকে ভ্রুণের লিঙ্গ নির্ধারণ করে কন্যা শিশুকে বাঁচানোর চেষ্টা করব না?’
ফর্ম পূরণ করার না জন্য ও পরিকাঠামোগত কারণে যেভাবে চিকিত্সকদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অশোকান। বর্তমান আইনে অন্তঃসত্ত্বাদের পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত আল্ট্রাসাউন্ড যন্ত্র এক ঘর থেকে অন্য ঘরে নিয়ে যাওয়া যায় না। পাশাপাশি কেন অন্তঃসত্ত্বার আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করা হয়েছে, তা জানানোর জন্য একটি ফর্ম ভর্তি করতে হয়। সেই ফর্ম পূরণ করা না হলে বা ভুল থাকলে তা ভ্রুণহত্যার সমতুল্য বলেও ধরা হয়। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকেও প্রশ্ন করেছেন অশোকান। তাঁর বক্তব্য, ‘সুপ্রিম কোর্টের মতো প্রতিষ্ঠান বলছে যে, যদি ফর্ম পূরণ না করো, তাহলে তুমি ভ্রুণহত্যা করেছ। এটা কীভাবে মেনে নেওয়া যায়? কয়েকদিন আগেই ফর্ম পূরণ না করায় এক চিকিত্সকের তিন বছর কারাদণ্ড হয়েছে।’ অশোকানের পরামর্শ, এর বদলে ভ্রুণের লিঙ্গ নির্ধারণ করে কন্যাভ্রুণ চিহ্নিত করা হোক এবং জন্মের পর সেই শিশুকে রক্ষা করার ব্যবস্থা করা হোক।