ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দাবি, সুদ সংক্রান্ত বেশকিছু অনিয়ম তাদের নজরে এসেছে। যেমন, ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি সুদ নিচ্ছে সেইদিন থেকে, যেদিন ঋণ অনুমোদন পেয়েছে। অথচ সুদের হিসেব হওয়ার কথা ঋণের টাকা হাতে পাওয়ার দিন থেকে। এক্ষেত্রে বেশি সুদ মেটাতে হচ্ছে গ্রাহককে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, ঋণ গ্রহীতার নামে যেদিন চেক কাটা হচ্ছে, সেদিন থেকে সুদ নির্ধারিত হচ্ছে। কিন্তু চেকটি গ্রাহককে দেওয়া হয়েছে তার বেশ কয়েক দিন পর।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দাবি, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, ঋণ দেওয়া হচ্ছে মাসের মাঝামাঝি সময়ে। কিন্তু গোটা মাসের সুদ জমা নেওয়া হচ্ছে। ঋণ পরিশোধ করার ক্ষেত্রেও একইভাবে গ্রাহকের থেকে সুদ বাবদ বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তা হওয়ার কথা নয়। মাসের যে ক’দিন ঋণ নেওয়া হয়েছে, শুধুমাত্র সেই দিনগুলির জন্যই সুদ প্রযোজ্য হওয়ার কথা। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানাচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, গ্রাহকের কাছ থেকে আগেভাগে এক বা দু’মাসের কিস্তির টাকা নিয়ে নিচ্ছে ব্যাঙ্ক। যে টাকা নেওয়া হচ্ছে, তার উপর সুদ প্রযোজ্য হওয়ার কথা নয়। কিন্তু ঋণের সম্পূর্ণ অঙ্কের উপরই সুদ নিচ্ছে তারা।
আরবিআইয়ের দাবি, এর বাইরেও নানা অছিলায় বাড়তি সুদ আদায় করছে ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান। যখন সেগুলি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নজরে এসেছে, তখনই সুদ বাবদ নেওয়া সেই বাড়তি টাকা গ্রাহককে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে সুদ সংক্রান্ত এই কারচুপির যাতে স্থায়ী সমাধান হয়, এবার তার নির্দেশ দিল আরবিআই। তারা ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে, ঋণের উপর সুদের হার নির্ণয় করার পদ্ধতিগুলিকে খতিয়ে দেখতে হবে। যদি প্রয়োজন হয়, তার জন্য গোটা ‘সিস্টেম’ বা পরিকাঠামোর বদল করতে হবে। চেকের মাধ্যমে ঋণ দেওয়ার প্রবণতা যতটা সম্ভব কমিয়ে আনতে হবে এবং ঋণের টাকা অনলাইনে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।