আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
ভোটপর্বের আগে থেকেই নাগরিকত্ব ইস্যুতে উত্তাল হয়ে রয়েছে দেশ। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির মধ্যে একটা চাপা টেনশন তৈরি হয়েছে ধর্মীয় বিভাজনের আশঙ্কায়। তার উপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ঘোষণা নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সংখ্যালঘু ও মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে। এদিনের সভায় জামালপুর থেকে এসেছিলেন উজ্জ্বল সরকার। বিজেপির কট্টর কর্মী-সমর্থক। বলছিলেন, ‘বিনা শর্তে নাগরিকত্ব দিলে অসুবিধা হতো না। ভেবেছিলাম, সেরকম আশ্বাস পাওয়া যাবে। কিন্তু যে সব নথি জমা করতে বলেছে, তা অধিকাংশ মানুষের কাছেই নেই। প্রচারে গিয়ে এখন প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে।’ রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘সিএএ হল এনআরসির প্রথম পদক্ষেপ। মমতাদিদি বলেছেন, শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত এনআরসি করতে দেবেন না। এটা ওঁর গ্যারান্টি। আর দিদি যে গ্যারান্টি দেন, তা বাস্তবায়িত হয়।’
এদিন অবশ্য কর্মী-সমর্থকদের অভাবে ছোট মাঠেই অমিত শাহকে সভা করতে হয়। পুলিসের দাবি, চার থেকে সাড়ে চার হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন। মিনিট কুড়ির মধ্যেই ভাষণ শেষ করে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার বেশিরভাগ শব্দই অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেকের জন্য খরচ করেন শাহ। তাঁর দাবি, ‘দিদি এবং ভাইপো বিজেপিকে ভয় পায়। আমাদের নেতাদের হোটেল বুকিং তৃণমূল বাতিল করে দিচ্ছে। বাংলায় রামরাজ্য দরকার। ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী বানাতে চান কি? মোদিজি বাংলার জন্য ১০ লক্ষ কোটি টাকা পাঠিয়েছিলেন। তৃণমূলের গুন্ডারা টাকা খেয়েছে। বাংলায় পরিবর্তন আনুন। ৩০টির বেশি আসন পেলে যারা টাকা খেয়েছে, তাদের উল্টো করে ঝুলিয়ে সব আদায় করব।’ সন্দেশখালির প্রসঙ্গ তুলেও তৃণমূলকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, ‘এক অনুপ্রবেশকারী তৃণমূল নেতা মা-বোনেদের শোষণ করেছে। এখানে বিজেপি ক্ষমতায় এলে অনুপ্রবেশ বন্ধ হবে।’ অমিত শাহের মন্তব্য, ‘গোটা দেশের উন্নতি হচ্ছে, অথচ বাংলা পিছিয়ে।’ তবে, গরিব মানুষের প্রাপ্য তাঁর সরকার কেন বন্ধ করে রেখেছে? কিছু অংশে দুর্নীতি হলে বাকিদের কেন শাস্তি দেওয়া হচ্ছে? এইসব প্রশ্নের উত্তর শাহ দেননি। শুধু বলেছেন, ‘৩০ আসন জিতলে বাংলাকে এক নম্বর বানাব।’