আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
সংসদে নারীদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের বিল দীর্ঘকাল ধরে নানা টানাপোড়েনে আটকে ছিল। বহুবার চেষ্টা করেও তা পাশ করানো যায়নি। লোকসভা ভোটের আগে নতুন সংসদ ভবনে সেই বিল পাশ করিয়েই মোদি নারীশক্তির জয়গান গেয়েছিলেন। তারপর থেকে মহিলা ভোটব্যাঙ্ক তাঁর টার্গেট। রাজ্যে রাজ্যে নারী ও যুবশক্তিকে আগামী দিনের ভারত নির্মাণের কারিগর আখ্যা দিয়েছেন তিনি। তারাই যে এবার ভোট দিয়ে বিজেপিকে জেতাবে, সেই আশাও প্রকাশ করছেন বারংবার। অথচ নারীশক্তিকে সংসদীয় রাজনীতিতে এগিয়ে দেওয়ার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি মোদির দলের প্রার্থী বাছাই পর্বে। বেশ কিছু রাজ্যে মাত্র একজন মহিলা প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। কিরণ খেরের মতো বহু মহিলা এমপির নাম বাদ গিয়েছে। পরিবর্তে সর্বত্র যে আরও একজন নারীকে প্রার্থী করা হয়েছে, এমন নয়।
নারী সংরক্ষণ আইনে সাফ বলা হয়েছে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের কথা। যদিও চমক দিয়ে আনা সেই আইন এখনই চালু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কবে চালু হবে সেটিও নিশ্চিত নয়। কারণ এই আইন কার্যকর হওয়ার আগে গোটা দেশে লোকসভা আসনের পুনর্বিন্যাস করতে হবে। ২০২৬ সালে সেই প্রক্রিয়া হওয়ার কথা। তারপরের লোকসভা ভোট হওয়ার করা ২০২৯-এ। সুতরাং তার আগে মহিলা সংরক্ষণ আইন বলবৎ হওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু সংসদে মহিলা সংরক্ষণ আইন পাশের সাত মাসের মধ্যে লোকসভা ভোটের প্রার্থী তালিকায় নারীদের সংখ্যা কমায় বিজেপির অন্দরেই বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে। সোজা কথায়, মোদির নারীশক্তি বন্দনার সঙ্গে কাজে মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।