শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকে বছরের এই দিনটি মায়ের সঙ্গে একবার হলেও দেখা করেন তিনি। এবছরও অন্যথা হয়নি। সোমবার রাতেই দিল্লি থেকে আমেদাবাদ পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমে নমামি দেবী নর্মদা মহোৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। আরতি করেন গুজরাতের ‘লাইফলাইন’ নর্মদার। সেখান থেকে যান মা হীরাবেনের কাছে। ছোট ছেলে পঙ্কজ মোদির সঙ্গে গান্ধীনগরের রাইসিন গ্রামে থাকেন ৯৮ বছরের হীরাবেন। জন্মদিনের পাশাপাশি বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শেষ এসেছিলেন লোকসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর। মায়ের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নেওয়ার ছবি সংবাদমাধ্যমের সাহায্যে দেখেছিল দেশবাসী। জন্মদিনে মায়ের কাছে মোদি আসছেন, এই খবর সংগ্রহ করতে সকাল থেকেই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের ভিড় ছিল হীরাবেনের বাড়ির বাইরে। মায়ের সঙ্গে গল্প করার পর মধ্যাহ্নভোজ সারেন। ছেলের জন্য বড় থালায় চাপাটি, বাটিতে ডাল, কয়েক রকমের সবজি এবং স্যালাড সাজিয়ে দেন মা। দু’জনে পাশাপাশি বসে আহার করেন। পরে কয়েকজন প্রতিবেশীর সঙ্গেও দেখা করেন।
বিরোধীরা বারবার দাবি করেছে, প্রচ্ছন্নভাবে হলেও মাকে রাজনীতির আঙিনায় এনেছেন নরেন্দ্র মোদি। সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে, মা-ছেলের সাক্ষাতের ছবি। সে ভোট দিতে যাওয়া হোক বা ভোটের পর মাকে প্রণাম করতে যাওয়া। যদিও মোদি স্পষ্ট বুঝিয়েছেন, বিরোধীরা যাই বলুক। মা তাঁর জীবনের অন্যতম সম্পদ।
কথা ছিল এদিন সাতসকালেই মায়ের কাছে যাবেন মোদি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ঠাসা কর্মসূচি মা-ছেলের সাক্ষাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সকালে গুজরাত পার্কে একঝাঁক প্রজাপতিকে মুক্ত করেন তিনি। আমেদাবাদ থেকে ১৯৩ কিলোমিটার দূরে নর্মদা জেলার কেবাড়িয়ার বাটারফ্লাই গার্ডেনে একটি কাপড়ের বাস্কেট থেকে বিভিন্ন বর্ণের একাধিক প্রজাপতি মুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে যান ক্যাকটাস বাগান এবং একতা নার্সারিতে। এই নার্সারি থেকেই পরিবেশ-বান্ধব পণ্য উৎপাদন করা হয়। কেবাড়িয়ায় নামার আগে বিমান থেকে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তির একটি ভিডিও তোলেন। পরে সেটি সোশ্যাল সাইটে শেয়ার করে লেখেন, ‘ওই বিশাল স্ট্যাচু অব ইউনিটি দেখুন। সর্দার প্যাটেলকে আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই।’
এই কাবাড়িয়াতেই একটি জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে জম্মু-কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রসঙ্গ উঠে এল। তিনি বলেন, ‘সর্দার প্যাটেলের অনুপ্রেরণায় দেশ আজ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে। কয়েক দশকের সমস্যার সমাধানের পথে হাঁটতে শুরু করেছে।’ পাশাপাশি, গুজরাত বিকাশের পথে কীভাবে এগিয়ে চলেছে, তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। তিনি মোদির সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘ জীবনের কামনা করেছেন। শুভেচ্ছা জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ট্যুইটারে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, নির্মলা সীতারামন এবং জয়শংকর শুভেচ্ছা জানান। প্রিয় নেতার জন্মদিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যজ্ঞ-পুজোয় মাতলেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা।