নয়াদিল্লি, ১৭ সেপ্টেম্বর (পিটিআই): ভারতের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ধরনের গাফিলতি বরদাস্ত করবে না মোদি সরকার। যদি এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটে, তবে তার মোকাবিলায় উপযুক্ত ও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই প্রসঙ্গেই জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা উত্থাপন করেন তিনি । জানান, গত ৫ আগস্ট ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে একটাও গুলি চলেনি, কারও মৃত্যুও হয়নি। বরং উপত্যকার পরিস্থিতি বর্তমানে যথেষ্টই শান্তিপূর্ণ। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিষয়টিকে ‘অখণ্ড ভারত’ গড়ার লক্ষ্যপূরণের পথে একটি বড় পদক্ষেপ বলেও মন্তব্য করেন অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ২০১৪ সালে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এনডিএ ক্ষমতায় আসার আগে দেশজুড়ে চূড়ান্ত অব্যবস্থা ছিল। সীমান্তে নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল ঢিলেঢালা। বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন দেশের সাধারণ মানুষজন। সেই সময়ে প্রত্যেক মন্ত্রীই নিজেকে প্রধানমন্ত্রী বলে ভাবতে শুরু করেছিলেন। অথচ, প্রধানমন্ত্রীকে কেউ প্রধানমন্ত্রী বলে মনে করতেন না। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দেশের মানুষ একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকারকে চোখের সামনে দেখতে পায়। ২০১৪ সাল থেকে শুরু করে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মোদি সরকার জিএসটি, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, বিমানহানা, এক পদ এক পেনশনের পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা এবং ৩৫এ ধারা প্রত্যাহারের মতো অন্তত ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মঙ্গলবার অল ইন্ডিয়া ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতের নিরাপত্তার বিষয়ে কোনও সমঝোতা করা হবে না। আমাদের দেশের অভ্যন্তরে এক ইঞ্চি জায়গাতেও আমরা কোনও ধরনের গাফিলতি বরদাস্ত করব না। যে কোনও পরিস্থিতির কঠোর জবাব দেওয়া হবে। আমাদের জওয়ানদের দেহ থেকে ঝরা এক ফোঁটা রক্তও বিফলে যাবে না।’ দেশের নিরাপত্তা নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা ও কঠোর নীতি গ্রহণ না করায় পূর্বতন কংগ্রেস সরকারের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন তিনি। অমিত শাহ আরও বলেন, ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও বিমানহানার পর থেকে ভারতের সম্পর্কে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মনোভাব বদলে গিয়েছে। ভারতের শক্তির বিষয়টি গোটা বিশ্বের কাছে প্রমাণিত হয়েছে।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং দুর্নীতিমুক্ত এই সরকার দেশের মানুষের জন্য শৌচালয় তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। ২০২২ সালের মধ্যে প্রত্যেক পরিবারের নিজের বাড়ি এবং সেখানে গ্যাস সংযোগও থাকবে। মানুষ যাতে সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারেন, আমাদের সরকার তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।