বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দাদরা ও নগর হাভেলির প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন গোপীনাথন। লোকসানে চলা সরকারের বিদ্যুৎবণ্টন সংস্থাকে লাভের মুখ দেখিয়ে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছিলেন তিনি। ছিলেন মিজোরামের জেলাশাসকও। সেখানে ব্যাডমিন্টনসহ খেলাধুলার প্রসার ঘটিয়ে শিরোনামে এসেছিলেন গোপীনাথন। আবার ২০১৮ সালে সরকারি আমলার পরিচয়পত্র ছাড়াই কেরলের বন্যা মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবক হয়ে কাজও করেছিলেন তিনি।
সম্প্রতি কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্ত নেয় মোদি সরকার। আর তার জেরে উপত্যকায় বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞাকে মেনে নিতে পারেননি গোপীনাথন। প্রতিবাদ জানাতেই আমলার চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। গোপীনাথনের কথায়, ‘আর পারছিলাম না। বড্ড অস্বস্তি লাগছিল। নিজেকে কেমন যেন অপরাধী অপরাধী মনে হচ্ছিল। শেষমেশ বিবেকের কাছে হেরে গিয়ে চাকরি ছাড়ার মধ্যে প্রতিবাদের রাস্তা খুঁজি। এখন নিজেকে বেশ হালকা লাগছে।’
শুধুই কি কাশ্মীর থেকে ৩৭০ বিলোপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ? গোপীনাথন বলেছেন, ‘আমার কাছে ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্ত কোনও বিষয় নয়। কিন্তু যেভাবে কাশ্মীরজুড়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মোবাইল, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। তা সার্বিকভাবে কাশ্মীরিদের মৌলিক অধিকারকে খর্ব করেছে। দেশের অন্যান্য প্রান্তের আর পাঁচজন নাগরিকের মতো কাশ্মীরিদেরও মুক্তভাবে চলাফেরা, মুক্তমনে কথা বলার অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। এটা মন থেকে মেনে নিতে পারছিলাম না। চাকরি ছাড়ার এটাই মূল কারণ হিসেবে ওই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন সরকারি কাজে সেরা পুরস্কার পাওয়া এই আমলা। এরই পাশাপাশি, বিমানবন্দর থেকে কাশ্মীরের প্রাক্তন আমলা শাহ ফয়জলকে আটক করার ঘটনারও তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি।